রাঙ্গুনিয়ায় গার্মেন্টস কারখানায় হামলা-ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি নিকেতন এলাকায় দাশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কারখানাটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে তারা। হামলার ঘটনায় গার্মেন্টসের পরিচালক অন্তর চন্দ্র বৈদ্য (৪০), কোয়ালিটি ম্যানেজার রাসেল দাশ (৪১) ও এক নারী শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আহতরা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার শান্তি নিকেতন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গার্মেন্টসের পরিচালক অন্তর চন্দ্র বৈদ্য।

এছাড়া হামলার প্রতিবাদে সড়কও অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে মরিয়ম নগর ডিসি সড়কের দু‘পাশে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।

রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। পরে নিজে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছি। শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গার্মেন্টসের মালিক কামনাশীষ দাশ বলেন, গার্মেন্টস দিয়েছি বছরখানেক হয়েছে। এখানে এলাকার সাড়ে ৩০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই এক বছরে গার্মেন্টসে তিনবার হামলা হয়েছে। মূলত চাঁদার দাবিতে এসব করছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এ সময় হামলা ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে গার্মেন্টস ভবনের পাশে স্থানীয় এক ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এর জেরে শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে তারা দলবল নিয়ে কারখানার সীমানা প্রাচীরের উপরে টিন দিয়ে দেয়। এই সময় তাদের এই কাজ করতে বাধা দিলে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গার্মেন্টসের পরিচালক অন্তর চন্দ্র বৈদ্য ও কোয়ালিটি ম্যানেজার রাসেল দাশকে মারধর করে। হামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা কোম্পানির মেইন গেটের ভেতরে প্রবেশ করে গেট লাগিয়ে দিলে হামলাকারীরা গেট ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। প্রতিবাদে কয়েকজন শ্রমিক এগিয়ে গেলে এক নারী শ্রমিককে মারধর করা হয়।