নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, দু’টি ছোরা, একটি গ্রিল কাটার, একটি হাতুড়ি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: ৩০ বাড়ি ভাংচুর, আহত ৫
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের কালা মিয়া ছৈয়াল বাড়ির মো. সুমন, পূর্ব মাইজচরা গ্রামের মো. সৈয়দ আলম, লক্ষ্মীপুর জেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের নোমানাবাদ কলোনীর মো. বেলাল হোসেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার চরলক্ষ্যা গ্রামের মোহাম্মদ নুর গোষ্ঠী নতুন বাড়ির সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ মে ভোর রাতে বেগমগঞ্জের লাকুড়িয়া কান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির রুহুল আমিন মিয়ার টিনশেড বিল্ডিং ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত ঘরের লোকজনদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ১৮ লাখ ৭৬ হাজার ২০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ আরও জানায়, মামলার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় তারা। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ফেনী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের সরুগো পুল নামক স্থানে চেকপোস্ট তৈরি করে পুলিশ। ওই সময় চৌমুহনীর দিকে দু’টি সিএনজি দ্রুত গতিতে আসতে দেখলে পুলিশ সিএনজি দু’টির পথরোধ করার চেষ্টা করে। সিএনজিটি সংকেত পেয়েও দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সিএনজির পিছনে ধাওয়া করে। এ সময় সিএনজিতে থাকা চারজন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ধাওয়া করে সিএনজিতে ড্রাইভার হিসেবে থাকা সুমনকে সিএনজিসহ আটক করে। পরে গ্রেফতার আসামির তথ্য অনুসারে চৌমুহনী রেল স্টেশন ও চৌমুহনী ফলপট্রি থেকে অপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সরাইলে কৃষিজমি থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, গ্রেফতার ডাকাতেরা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেছে। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপরাপর আসামি গ্রেফতারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আসামিরা পেশাদার ডাকাত। তারা বিভিন্ন সময় নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানাসহ আশপাশের জেলা ও থানায় ডাকাতি করে বেড়ায়।
প্রতিনিধি/ এমইউ