সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাত, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ইসলামপুর পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখ।
রোববার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপ-সচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ টানা তৃতীয় বারের মতো মেয়রের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ অবস্থায় মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উক্ত পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর মেয়রের স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগ করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাঁকে মেয়র এর পদ হতে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার দায়ে মেয়র এর পদ হতে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখের অনাস্থা চেয়ে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ কাউন্সিলর। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন করেন।
বরখাস্তের বিষয়ে আব্দুল কাদের সেখ বলেন, 'ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাকে মেয়র এর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, মূলত তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। বরখাস্তের বিষয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এজে
