সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান বাঁচতে চায় 

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর 
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান বাঁচতে চায় 

মো. ইমরান হোসেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন। ১৮ বছর বয়সী হাস্যোজ্জ্বল এ কিশোরকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে সে এ মরণব্যাধিতে ভুগছে।

আট বছর আগে তার পরিবার জানতে পারে যে ইমরান ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। সেই থেকে তারা ছেলেকে সুস্থ করতে ধার-দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। তবুও কোনো লাভ হয়নি।


বিজ্ঞাপন


ইমরানের বাবা দিনমজুর মো. জুলহাস মোল্লার উপার্জনে চলছে তাদের পুরো সংসার। এ পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে ইমরানের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১০ লাখ টাকা। অথচ, তাদের এমন কোনো সম্পদ নেই - যা বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসায় খরচ করবেন। এ কারণে ছেলেটিকে বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার।

আরও পড়ুন: মানসিকভাবে অসুস্থ নুর আলম ৭ বছর ধরে শিকলবন্দী, হচ্ছে না চিকিৎসা

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হন ইমরান। সে তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে যান ইমরান। তার শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়। মাথায় পানি ঢাললে সুস্থ হয়ে উঠেন। মাসে দু-একবার এ রকম লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় সবাই ধারণা করেন মৃগীরোগে আক্রান্ত তিনি। তাই প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ডাক্তার কবিরাজের চিকিৎসা করান বাবা-মা। এভাবে কেটে যায় ৪-৫ বছর। বছর তিনেক আগে মাথা ব্যথা আরও তীব্র হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে জানা যায় যে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন ইমরান। এরপরই মহাবিপদে পড়েন বাবা-মা। তারা ধার-দেনা করে শুরু করেন চিকিৎসা।

ইমরানের বাবা জুলহাস মোল্লা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে ইমরানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। কষ্ট হলেও ছেলেকে পড়ালেখা করাবো। কিন্তু তা আর হলো না। ব্রেন টিউমারে ছেলের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। এখন টাকার অভাবে যেন ছেলেকেই বাঁচাতে পারছি না।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে রিকশাচালকদের মাঝে ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ

ইমরানের মা রিনা বেগম জানান, আমাদের কোনো জমিজমা নেই। সরকারি বাঁধে বাড়ি করে থাকি। ওর বাবা পরের বাড়িতে কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। ছেলের চিকিৎসা নিয়ে আমরা এখন চিন্তিত। ধার-দেনা করে এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা ব্যয় করেছি। ডাক্তার বলেছেন, ছেলেকে বাঁচাতে হলে বিদেশে যেতে হবে। সব মিলিয়ে ৮-১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এ টাকা আমাদের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম জানান, যাকাত-ফিতরা নিয়ে ওই পরিবার এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসা করিয়েছে। এখন সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে হয়তো তার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা সম্ভব। সমর্থবানদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

সহযোগিতার জন্য ইমরানের বাবা জুলহাস মোল্লার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, জনতা ব্যাংক, কলম শাখা, নাটোর। সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০১০০২৫৫৩৪৪৬৬২। বিকাশ নম্বর- ০১৭০৭২৬৪৪২৮।

প্রতিনিধি/ এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর