পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম (৮) নামের এক শিশুর মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন রামভালক গ্রামে শিশুটির বাড়ির পূর্বপাশে পরিত্যক্ত ভিটা থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন দশমিনা থানা পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, মরিয়ম ওই ইউনিয়নের ৪নং ওর্ডের রামভালক গ্রামের মৃধা বাড়ির মকবুল মৃধার দ্বিতীয় মেয়ে। সে রামভালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধার পরে পরিবারের সদস্যরা মরিয়মকে দেখতে না পেয়ে দের দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরে ওই বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত বিটায় খুঁজতে গেলে ওই শিশুর মৃত দেহটি দেখতে পায় তারা। পড়ে তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে দশমিনা থানা-পুলিশ মরিয়মের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মরিয়মের মা রিনা বেগম বলেন, দুই বছর ধরে আমার বাড়ির রাজ্জাক মৃধা, হারুন, বারেক, আবুল, শাহজাহান, জাকিরদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে আমাদের। সন্ধ্যার সময় এদের কয়েক জনকে আমার ঘরের সামনে ঘুরতে দেখি। জমিজমার বিরোধের কারণে মনে হয় এরা আমার মেয়েকে বাড়ির পূর্বপাশের ভিটায় নিয়ে হত্যা করেছে।
মরিয়মের বাবা মকবুল মৃধা বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধর কারণে রাজ্জাক, হারুন, বারেক, আবুল, শাহজাহান ও জাকির বহুবার মারধর করেছে আমাকে। কয়েক দিন আগে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওরাই আমার মেয়েকে ভিটায় নিয়ে হত্যা করেছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, এটা একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সত্য উদঘাটনে তদন্ত করে এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, এটা একটি হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিকভাবে শিশু মরিয়মের মাথায় কোপ ও গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন দেখা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রতিনিধি/ এজে