সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

মাস পেরোলেও খোঁজ মেলেনি সেই মায়ের

জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় তিন শিশুসন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনার একমাস হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি মা সালমা বেগমের। এদিকে মেয়েকে শেষবারের মতো দেখার আশায় নদীর পাড়ে বসে থাকেন বাবা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের। বিয়ের পর থেকেই সালমা বেগমের শাশুড়ি মিলি বেগম ও ননদ কলির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।


বিজ্ঞাপন


গত ৫ নভেম্বর সকালে এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে সকালে তিন সন্তান সাহাবীর, আনিকা ও জাফরকে নিয়ে কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেন সালমা। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে নদী থেকে আনিকা ও জাফরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরদিন ঘটনাস্থলের থেকে একটু দূরে বড় সন্তান সাহাবীরের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তবে এখন পর্যন্ত সালমা বেগমের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

thumbnail_20231105_153520

সালমা বেগমের বাবা লোকমান ছৈয়াল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি এখনও প্রতিদিন আমার মাইয়ার খোঁজ করতে নদীর পাড়ে আইসা বসে থাকি। জানি না আমার মাইয়ারে আর খুঁজে পাব কি না। জীবিত হোক বা মৃত, শেষবারের মতো হলেও মাইয়াডার মুখ দেখতে চাই।

সালমা বেগমের স্বামী আজবাহার মাদবর ঢাকা মেইলকে বলেন, সালমার মনের ভেতর কিসের এত রাগ ও অভিমান ছিল, তা টের পাইনি। কেন সে সন্তানদের নিয়ে এ রকম একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা–ও জানতে পারলাম না। নদীতে এখনও ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। জানি না তাকে কখনো খুঁজে পাব কি না। আমাদের এক সন্তানকে বাড়িতেই কবর দিয়েছি। দুই সন্তান কিছুই বুঝছে না। তারা মাঝেমধ্যে মাকে খুঁজতে খুঁজতে কান্না করে। আমি তাদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেই কান্না করি। ওদের কি বলে সান্ত্বনা দিব নিজেই কেঁদে ফেলি বারবার।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই নিখোঁজ সালমা বেগমের খোঁজ করা হচ্ছিল। তিনি যখন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তখন নদীতে বেশি স্রোত ছিল। তাই হয়তো মরদেহটি এই জায়গাতে নেই। তবে আমরা এখনও সালমা বেগমের খোঁজ করছি।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর