টাঙ্গাইলে গৃহবধূ খাদিজা আক্তার (২৩) হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদুল ইসলাম রাশেদকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে একই দিন ভোরে রাজধানীর ঢাকার সাভারের আমতলীর মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রাশেদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের নলখোলা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ ও র্যাব-১ এর যৌথ একটি দল অভিযান বৃহস্পতিবার ভোরে সাভারে অভিযান চালিয়ে খাদিজা হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাশেদকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
রাশেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, খাদিজা আক্তার ও রাশেদ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের বটতলা এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। মুন্নি আক্তার নামে রাশেদের আরও এক স্ত্রী ছাড়াও তিন সন্তান রয়েছে। তবে খাদিজা আক্তারের সম্পর্কের কথা এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রাশেদের তার পূর্বের স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল। এদিকে খাদিজাকে নিয়ে সংসার করা অবস্থায় সেও রাশেদের কাছে টাকা দাবি করত। বারবার টাকা দাবি করায় একপর্যায়ে রাশেদ উত্তেজিত হয়ে খাদিজাকে হত্যা করেন।
সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন তার বাসায় গিয়ে তালাবদ্ধ ঘরের দরজা ভেঙে খাটের উপর খাদিজা আক্তারের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই সময় খাদিজার পায়ের গোড়ালির পেছনের রগ কাটা ছিল। এ ঘটনার পরদিন ৪ সেপ্টেম্বর খাদিজা আক্তারের বড় ভাই ইমান আলী (২৫) বাদী হয়ে রাশেদুল ইসলাম রাশেদসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
প্রতিনিধি/আইএইচ

