চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা মুন্সিপুর সীমান্ত থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বারসহ রাজ্জাক আলী (৪৯) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।
রোববার (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা মুন্সিপুর জাহাজপোতা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক রাজ্জাক আলী মুন্সিপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রকিবুল ইসলাম জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দামুড়হুদা মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণেরবার চোরাচালান হবে। খবর পেয়ে সহকারী পরিচালক হায়দার আলী এবং মুন্সিপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৯৩/৭-আর থেকে আনুমানিক ৭০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে জাহাজপোতা গ্রামের সাইনবোর্ডতলা নামক স্থানের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় অবস্থান করেন।
বিজ্ঞাপন
সকাল ১১টায় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বিজিবি সশস্ত্র টহল দল দুই ভাগে বিভক্তে হয়ে একটি দল চোরাকারবারির পেছনে ধাওয়া করে চোরাকারবারীকে আটক করেন এবং অপরদল মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন।
আটক চোরাকারবারিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে কোন চোরাচালানি পণ্য নেই বলে বিজিবি টহল দলকে জানান। এরপর বিজিবি টহল দল চোরাকারবারির পায়ের চামড়ার জুতার সোলের ভেতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার, ১টি ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল এবং তার কাছে থাকা ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আটক এসব স্বর্ণের বারের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬২ লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বারের শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশে পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক আসামির বিরুদ্ধে সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস