নওগাঁর ধামইরহাটে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সনদপত্র দাখিল করায় মো. কামরুজ্জামান সাদ্দাম নামের দলিল লেখকের লাইন্সেস বাতিল করা হয়েছে।
ওই ভুয়া দলিল লেখক উপজেলার শিববাটি (ঠনঠনাপাড়া) গ্রামের মৃত জবেদ আলী মহরীর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কোনো ব্যক্তি দলিল লেখক হতে হলে কমপক্ষে এসএসসি বা সমমান পাশ এবং বয়স ২১ বছর হতে হবে। কিন্তু কামরুজ্জামান সাদ্দাম দলিল লেখকের সনদ পাওয়ার জন্য ২০১২ সালে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।
এসময় তিনি আবেদনের সঙ্গে ২০০২ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পাশের সনদ দাখিল করেন। সেখানে তার জন্ম তারিখ লেখা ছিল ৭ নভেম্বর ১৯৮৯ সাল। পরবর্তীতে তিনি আবারও দলিল লেখকের লাইন্সেস নবায়ণের সময় ২০০৯ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশের আরও একটি সনদপত্র দাখিল করেন। এসময় তার জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ২৫ অক্টোবর ১৯৯৩ সাল। সেই জন্মতারিখ অনুযায়ী তার ২১ বছর না পূরণ হয়নি।
বিষয়টি জানতে পেয়ে ধামইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার চলতি বছরের ২২ জুন জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর একটি পত্র পাঠান। পরবর্তীতে জেলা রেজিস্ট্রার কামরুজ্জামানের দাখিল করা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রসহ সকল কাগজপত্র সঠিক না হওয়ায় এবং এসএসসি পাশের সনদপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত বয়স ২১ বছরের কম হওয়ায় দলিল লেখক বিধিমালা ২০১০ এর ২ নম্বর বিধিতে প্রদত্ত শর্তের অযোগ্যতা হওয়ায় তার দলিল লেখক সনদ বাতিল করেন। যার স্মারক নং-১০.০৫.৬৪০০.০০১.৯৯.০০১.২১-৪১৬/১(১)।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান সাদ্দামের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
ধামইরহাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. আব্দুস সালাম বলেন, কামরুজ্জামানের দলিল লেখক হিসেবে লাইন্সেস প্রাপ্তির সময় ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করে। বিষয়টি জানতে পেয়ে জেলা রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে জানানো হয়। পরবর্তীতে তার সনদপত্র যাচাই করলে সনদটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে জেলা রেজিস্ট্রার তার দলিল লেখকের লাইন্সেস বাতিল করে দেন।
প্রতিনিধি/এসএস