ফরিদপুরে মধুখালীর ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু মুরসালিন (১১) হত্যা মামলাটির রহস্যের জট খুলেছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। শিশুটির সৎ বাবাই তাকে হত্যা করেন। তাকে গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার চন্দনা-বারাশিয়া নদীর পাড়ে সরদারপাড়া কালীমন্দিরে পাশে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি সাদা প্লাস্টিকের বস্তায় মানবদেহের মাথার খুলিসহ ৭০ পিস হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর এই ঘটনায় মধুখালী থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মধুখালী থানায়। আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটির তদন্তভার পিপিআইর ওপর পড়ে। মামলাটির তদন্তভার এস.আই (নি.) রামপ্রসাদ ঘোষের ওপর দেন জেলা পিবিআইর পুলিশ সুপার।
বিজ্ঞাপন
তদন্তভার পেয়েই তিনি অজ্ঞাতনামা হাড়গোড়ের ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে আশাপুর এলাকার ইতি খাতুন ও স্বামী মো. আশরাফুল শেখের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি বাংলাদেশ পুলিশ, মালিবাগ ঢাকায় পাঠান। ডিএনএ পরীক্ষায় অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহের হাড় (Exhibit 3) থেকে একজন পুরুষের পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ আশরাফুল শেখ এবং মোসা. ইতি খাতুন যুগলের সন্তান মুরসালিনের।
এই ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুরসালিনের সৎ বাবা মো. মিজানুর রহমানকে গত ২৩ জুলাই মাগুরার শ্রীপুর থানার ওয়াবদা মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
এ বিষয়ে পিবিআইর ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহত মুরসালিনের হত্যাকারী তারই সৎ বাবা। গ্রেফতারের পর সোমবার (২৪ জুলাই) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ৫নং আমলি আদালতের বিচারক মো. ফরিদ উদ্দীনের কাছে আসামি মিজানুর রহমান তার সৎ ছেলে মুরসালিনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।
মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/জেবি