অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে বিমান ভ্রমণ অনেকটাই আলাদা। আকাশযানের ভাড়াও বেশি। সারা বিশ্বের ভ্রমণার্থীরাই কম খরচে বিমানের টিকিটের সন্ধান করে থাকেন। আসলে বিমানের টিকিটের দাম সব সময় ওঠা-নামা করে। ফ্লাইটের তুল্যমূল্য বিচার এবং বুকিং টুল তাৎপর্যপূর্ণভাবে ট্রাভেল বাজেটের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে ভাড়া কমে যায় এবং ডিলও ভালো হয়। জনপ্রিয় বিকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হল স্কাইস্ক্যানার। যা প্রচুর ব্যবহৃত হয়। যদিও অনেক ভ্রমণার্থী আবার গুগল ফ্লাইটসের মতো বিকল্পও ব্যবহার করে থাকেন। কোন প্ল্যাটফর্মে তুলনামূলকভাবে সস্তায় বিমানের টিকিট পাওয়া যাবে, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: বিমান টিকিটের দাম কেন ওঠা-নামা করে?
বিজ্ঞাপন
কীভাবে কাজ করে গুগল ফ্লাইটস?
গুগল ফ্লাইটস হল একটা ফ্লাইট সার্চ ইঞ্জিন। ৩০০টিরও বেশি বিমান সংস্থা এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির ভাড়াকে একত্রিত করা হয়। এই প্ল্যাটফর্ম সরাসরি টিকিট বিক্রয় করে না। বরং পরিবর্তে তা এয়ারলাইন ওয়েবসাইট অথবা অথরাইজড ট্রাভেল এজেন্সিতে রিডিরেক্ট করে দেয়।
এর ফলে একাধিক প্ল্যাটফর্মের টিকিটের দামের তুলনামূলক বিচার করতে পারেন ভ্রমণার্থীরা। সেই সঙ্গে তারা এয়ারলাইনের পলিসি এবং স্পেশাল অফারের সরাসরি অ্যাক্সেসও পেয়ে যান। ফ্লাইট সার্চ করার জন্য ব্যবহারকারীদের নিজেদের ভ্রমণের দিনক্ষণ, ডিপারচার এবং অ্যারাইভাল সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
গুগল ফ্লাইটসের ফিচার
১. প্রাইস ট্র্যাকিং এবং অ্যালার্ট।
২. দাম কমলে পাওয়া যায় রিফান্ড।
৩. বিমান সংস্থার সঙ্গে সরাসরি তুলনা।
৪. সিট এবং ব্যাগেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
৫. ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্যালেন্ডার এবং প্রাইস গ্রাফ।
৬. কার্বন এমিশনও দেখানো হয়।
৭. ডিরেক্ট এয়ারলাইন ওয়েবসাইটে রিডিরেক্ট করা।
কীভাবে কাজ করে স্কাইস্ক্যানার?
স্কাইস্ক্যানার ব্যবহার করার জন্য ভ্রমণার্থীদের নিজেদের ডিপারচার এবং অ্যারাইভ্যাল লোকেশন দিতে হবে। সেই সঙ্গে দিতে হবে সম্ভাব্য ভ্রমণের দিনক্ষণ। এরপরেই ওই প্ল্যাটফর্মে ভেসে উঠবে উপলব্ধ উড়ান। যা দাম, ভ্রমণের সময়, নিজের পছন্দ ও লে-ওভারের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া যেতে পারে। ধরা যাক, অনেক পরে কারও কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন মাসে উড়ান সস্তা হবে, সেটাও জেনে নেওয়া যেতে পারে। তবে শুধু উড়ানই নয়, হোটেল এবং গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্কাইস্ক্যানার।
স্কাইস্ক্যানারের ফিচার
১. প্রাইস ট্র্যাকিং এবং অ্যালার্ট।
২. বিমান সংস্থার সঙ্গে সরাসরি তুলনা।
৩. ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্যালেন্ডার এবং প্রাইস গ্রাফ।
৪. ডিরেক্ট এয়ারলাইন ওয়েবসাইটে রিডিরেক্ট করা।
এজেড