যানবাহনে জ্বালানি তেল ভরাতে সবাই পাম্পে যান। গ্রাহকদের সঠিক পরিমাপে তেল না দিয়ে গ্রাহকদের ঠকান পাম্প অপারেটররা। এজন্য তারা নানান ধরনের কারসাজি করে থাকেন।
পেট্রোল পাম্পের মিটারে শূন্য দেখলে আপনার মনে হয় এবার আপনার সঙ্গে কোনও রকমের প্রতারণা হবে না। কিন্তু শূন্যের পর অনেক পেট্রোল পাম্পের মিটার সরাসরি ৫-৬ এ পৌঁছে যায়।
বিজ্ঞাপন
পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে তেল ভরার আগে অনেক সময়ই পাম্প কর্মীরা তেল দেওয়ার মেশিনের মিটারে শূন্য বা জিরো রিডিং আছে কি না, দেখে নিতে বলেন৷ আর আপনি যদি তা চেক না করেন, তা হলে কিন্তু ঠকতে হয়।
সাধারণত পেট্রোল পাম্পের মিটার শূন্য দেখালে পেট্রোল ভরা শুরু হয় আপনার গাড়িতে। তার পর আপনি যে পরিমাণ টাকার জ্বালানি ভরতে চাইছেন সেই টাকার পেট্রোল বা ডিজেল পাবেন। সাদা চোখে দেখলে এতে কোনওরকম ঠকবাজি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পেট্রোল পাম্পের মিটারে শূন্য দেখলে আপনার মনে হয় এবার আপনার সঙ্গে কোনও রকমের প্রতারণা হবে না। কিন্তু শূন্যের পরঅনেক পেট্রোল পাম্পের মিটার সরাসরি ৫-৬ এ পৌঁছে যায়। সেই দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতেই হবে। তখনই হয় আসল কারচুপি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পগুলো যেভাবে তেল চুরি করে
আমাদের মধ্যে অনেকেই ১০০,২০০,৫০০ টাকার পেট্রোল ভরাই নিয়মিত। আর এখানেই ভুলটা হয়। অনেক সময় পেট্রোল পাম্পের মেশিনে তেলের পরিমাণ আগে থেকেই সেট করা থাকে। আপনি প্রতারণা এড়াতে লিটার মেপে তেল ভরাতে পারেন।
সব সময় নিজের এলাকার নির্ভরযোগ্য পেট্রোল পাম্পে যান। তার পর সেখানে ২, ৩, ৫ লিটার পেট্রোল ভরান। এতে আপনার ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
পেট্রোল পাম্প আপনাকে প্রতারিত করার চেষ্টা করলে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। সরাসরি সেই পাম্পের মালিককে অভিযোগ জানাতে পারেন। ভোক্তার অধিকার কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ করতে পারেন।
এজেড