মোটরসাইকেলের মাইলেজ নির্ভর করে রাইডিং স্টাইলের ওপর। বিশেষ করে বাইকের স্পিড অনেকটাই মাইলেজের জন্য দায়ী। অনেকেই জানেন না, একটি নির্দিষ্ট স্পিডে বাইক চালালে পেট্রোল কম খরচ হয়। মাইলেজ মেলে বেশি। একবার ট্যাঙ্ক ফুল করে নিলেই সারা মাস চলে যায়।
বাইক নিয়ে বের হলেই অনেকেই ট্যাঙ্ক ফুল করে নেন। হিসেব বলছে, প্রতিদিন যদি কেউ ৪-৫ কিলোমিটার বাইক চালান, তাহলে এক মাস আর তাকে পেট্রোল ভরতে হবে না। কিন্তু যারা দিনে ১০ থেকে ২০ কিমি রাইড করেন, তাঁদের ট্যাঙ্ক ১৫-২০ দিনেই খালি হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হোন্ডার এই ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি খুলে চার্জ দেওয়া যাবে
তবে অনেকেই জানেন না, একটি নির্দিষ্ট স্পিডে বাইক চালালে পেট্রোল কম খরচ হয়। মাইলেজ মেলে বেশি। একবার ট্যাঙ্ক ফুল করে নিলেই সারা মাস চলে যায়। এখানে দেওয়া হল সেই ‘আদর্শ স্পিড’-এর হদিশ।
আদর্শ স্পিড: টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিমি স্পিডই আদর্শ স্পিড। এই স্পিডে বাইক চালালে সবচেয়ে ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়। পেট্রোল কম পোড়ে। চালকদের সতর্ক করে দিয়ে তাঁরা আরও বলছেন, বেশি স্পিডে চালালে এবং বারবার ব্রেক কষলে পেট্রোল বেশি খরচ হয়। তাই এই দুটো বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
বিজ্ঞাপন
গিয়ার শিফটিংয়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে: আরও কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন গিয়ার শিফটিং। বাইক চালানোর ক্ষেত্রে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইক কম স্পিডে থাকলে টপ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত নয়। আবার স্পিড বেশি হলে গিয়ার টপে রাখতে হবে। স্পিডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবসময় বাইকের গিয়ার বদলানো উচিত।
আরও পড়ুন: ৭৯০ সিসির নতুন অ্যাডভেঞ্চার বাইক আনল কেটিএম
ইঞ্জিনের যত্ন: সময়মতো বাইকের সার্ভিসিং করাতে হবে। যত্ন না নিলে ইঞ্জিন টিকবে না। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্টস ঠিক আছে কি না, নিয়মিত দেখা জরুরি। প্রয়োজনে সেগুলো বদলাতে। সোজা কথায়, বাইকের দেখভাল করতে হবে। কারণ এটাও একটা যন্ত্র, তাই যত্ন না নিলে গড়বড় হবেই।
সঠিক টায়ার প্রেশার: টায়ারে বায়ুর চাপ অর্থাৎ টায়ার প্রেশার যেন ঠিক থাকে। খুব কম বা খুব বেশি হলে সরাসরি ইঞ্জিনে চাপ পড়ে। ফলে পেট্রোল বেশি পোড়ে। যার প্রভাব দেখা যায় বাইকের মাইলেজে। তাই টায়ার প্রেশার ঠিক রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
এজেড