বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স থাকে। যা একটি গিয়ার শিফটারের সঙ্গে যুক্ত। এই শিফটার দিয়েই গিয়ার বদল করতে হয়। বাইকের গিয়ার সঠিকভাবে বদল করলে মাইলেজ বাড়ে। ইঞ্জিনও থাকে ভালো। বাইকের ক্লাচ প্লেট দীর্ঘদিন টেকে। এর জন্য বাইকের গিয়ার লাগানোর সঠিক উপায় জানা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাইকের গিয়ার বদলানোর সঠিক উপায়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ফগ লাইট লাগানো কি বেআইনি?
বিজ্ঞাপন
১. ক্লাচের সঠিক ব্যবহার
– গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সর্বদা ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা উচিত।
– অর্ধেক চাপা ক্লাচ গিয়ারের ক্ষতি করতে পারে।
– গিয়ার বদলানোর আগে, ক্লাচটি সম্পূর্ণভাবে চেপে ধরতে হবে এবং গিয়ারটি শিফটের পরে, এটি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জ্যামে আটকা পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে এই স্কুটারের ইঞ্জিন
২. সঠিক গিয়ার নির্বাচন
– গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার সিলেক্ট করতে হবে।
– খুব কম আরপিএমে উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ হ্রাস পায়।
– খুব বেশি আরপিএমে নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং গাড়ি বেশি ঘষা খায়।

৩. গিয়ার পরিবর্তনের সময়
– দ্রুত গতি বাড়াতে একটি নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত।
– গতি কমাতে একটি উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বুলডোজার, এক্সাভেটরের জ্বালানি খরচ কেমন?
– একটি সমতল রাস্তায়, প্রায় ২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।
৪. কোন সময়ে কোন গিয়ারে বাইক চালাবেন?
– গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটরটি সামান্য বাড়ানো উচিত।
– হঠাৎ গিয়ার পরিবর্তন করা উচিত নয়।
– ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে গাড়ি চালাতে হবে।
আরও পড়ুন: জ্যামে আটকা পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে এই স্কুটারের ইঞ্জিন
– লাল আলোতে নিরপেক্ষ গিয়ারে স্থানান্তর করতে হবে।
– নিজেদের মোটরসাইকেলের ম্যানুয়ালে দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসরণ করা উচিত।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে কেবল নিজেদের মোটরসাইকেলের মাইলেজই বাড়ানো যাবে না, ইঞ্জিনের আয়ুও বাড়ানো সম্ভব, পাশাপাশি রাইডিংকে আরও নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক করা যেতে পারে।
বাইকের গিয়ার বদলের সময় আরও যেসব বিষয়ে মনে রাখবেন
– নিজেদের মোটরসাইকেল নিয়মিত সার্ভিসিং করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে এসব মোডিফিকেশন করালে জরিমানা গুনতে হবে
– ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্লাচ, গিয়ার এবং এক্সিলারেটর তারগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে।
– সঠিক বায়ুচাপ সহ টায়ার ব্যবহার করতে হবে।
এই সমস্ত জিনিস মাথায় রাখলেই নিজেদের মোটরসাইকেল রাইডিং পুরোপুরি উপভোগ করা যেতে পারে।
এজেড

