images

নারী ও শিশু

নভেম্বরে নির্যাতনের শিকার ১৯১ নারী ও কন্যা শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪০ পিএম

চলতি বছরের অক্টোবর মাসে মোট ১৯১ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে ১০৫ জন নারী ও ৮৬ জন কন্যা শিশু রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মোট ১৯১ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৪ জন কন্যাসহ ২৭ জন। যার মধ্যে তিন কন্যাসহ ৭ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ৫ কন্যাশিশু। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে একটি।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৪ কন্যা শিশু। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ৮ কন্যাসহ ৯ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে তিনজন কন্যা রয়েছে।  অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন এক কন্যাসহ ৩ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নভেম্বরে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পাঁচ নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। ১০ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে দুই কন্যা শিশু রয়েছে। পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন এক নারী। এক গৃহকর্মী নির্যাতিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নারীর প্রতি সহিসংতা বন্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি

মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে তিনজন কন্যা শিশু। পাঁচজন কন্যাসহ ২০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর ৭ জন কন্যাসহ ১৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। যারমধ্যে এক কন্যা শিশুসহ তিনজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। চারজন কন্যা ও নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। তিনজনকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছেন এক নারী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু নভেম্বর মাসে দুইজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুইজন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়ে একটি। বাল্যবিবাহ হয়েছে একটি। এছাড়াও ৯ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে সাতজন নারী ও দুইজন কন্যা শিশু।

এমএইচ/এমএ