images

নারী ও শিশু

নারীর প্রতি সহিসংতা বন্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম

নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও সহিসংতা বন্ধে রাজনৈতিক অঙ্গীকার দাবি করেছেন নারী নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, ঘরে-বাইরে সর্বত্র নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি নারীদের পিছিয়ে রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারী নির্যাতন বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সুনির্দ্দিষ্ট ঘোষণা দিতে হবে এবং সেই বাস্তবায়নে আগামীতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষে ‘নারীর জন্য বিশ্ব গড়ো, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করো, সহিংসতা প্রতিরোধ করো’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য রাখেন বিএনপিএস’র নির্বাহী পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর।

বিএনপিএস’র পরিচালক শাহনাজ সুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিএনপিএস’র ইয়ুথ গ্রুপের প্রতিনিধি মাহমুদা আকন্দ।

আরও পড়ুন

নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন সুফিয়া কামাল

বক্তৃতা করেন বিএনপিএস’র কর্মসূচি সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান মুকুল, নারীনেত্রী মাসুদা রওশন, বিএনপিএস’র ঢাকা (পূর্ব) কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শেলিনা পারভীন ও ঢাকা (পশ্চিম) কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলালউদ্দিন, স্কুলছাত্রী পুষ্পিতা ও রাশেদা।

সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যখন বিশ্বব্যাপী প্রচারাভিযান চলছে, তখন হাজার হাজার ফিলিস্তিনী নারী ও শিশুকে নির্দয়ভাবে হত্যা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এই যুদ্ধ ও হত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। একইসাথে বিপুল পরিমাণ অর্থ যুদ্ধে ব্যয় না করে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারীর মতায়নসহ জনকল্যাণে বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হলেও আগামী দিনে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে কোনো আলোচনা বা প্রতিশ্রুতি দেখা যাচ্ছে না। বরং নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কারণ অতীতে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠী এবং নারী ও মেয়েদের প্রতি বীভৎস নির্যাতনের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে দেখেছে দেশবাসী। তাই আগামীতে নারী ও সংখ্যাল্প জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন

সংরক্ষিত নারী আসনে প্রত্যক্ষ ভোটের সুপারিশ

নারী নেত্রী শাহনাজ সুমী বলেন, নারীর মতায়ন ও নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে এবং এই বিনিয়োগ নারীর জন্য কোনো দয়া-দাক্ষিণ্য নয়, এ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে নারীদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আইনের পরিবর্তন করতে হবে। আইনের সঠিক, নিরপেক্ষ ও সময়ানুগ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। নারী নির্যাতনকারীকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি থানায় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার চালু করতে হবে। ওয়াজ মাহফিলসহ সকল প্রকার ধর্মীয় সভায় নারীবিরোধী বক্তব্য আইন করে বন্ধ করতে হবে। যৌন সহিংসতা বন্ধে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষার সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বিইউ/এমএইচএম