তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১২ পিএম
অনেকেই মনে করেন শুধু এসি বা ফ্রিজ বেশি ব্যবহার করলেই বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু ছোট অভ্যাসের কারণেই অজান্তে বিদ্যুৎ অপচয় হয়। এই অপচয়ের প্রভাব মাসের শেষে সরাসরি বিদ্যুৎ বিলে পড়ে। সামান্য সচেতনতা আর কিছু অভ্যাস বদলালেই বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
চার্জার খুললেও সুইচ বন্ধ না করা
বেশিরভাগ বাড়িতেই দেখা যায়, মোবাইল চার্জ শেষ হয়ে গেলেও চার্জার প্লাগে লাগানো থাকে এবং সুইচ বন্ধ করা হয় না। এই অবস্থায় চার্জার বিদ্যুৎ টানতে থাকে, যাকে স্ট্যান্ডবাই পাওয়ার বলা হয়। দিনের পর দিন এই অবহেলা চলতে থাকলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিদ্যুতের ইউনিট খরচ বাড়তে থাকে, যা বিলের অঙ্ক বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় কী?
সাধারণ বাল্বে বিদ্যুৎ অপচয় বেশি
বাড়ির আলো ব্যবস্থায় এখনও অনেকেই সাধারণ বাল্ব ব্যবহার করেন। এই ধরনের বাল্বে ফিলামেন্ট ব্যবহারের কারণে বিদ্যুতের অপচয় বেশি হয়। অন্যদিকে এলইডি ল্যাম্পে কম বিদ্যুৎ খরচে একই পরিমাণ আলো পাওয়া যায়। তাই বাড়িতে এলইডি বাতি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে বিল কমানো সম্ভব।
এসি ব্যবহারে ভুল অভ্যাস
ইলেকট্রিশিয়ান তপন দাস জানান, এসি ব্যবহারের সময় সবচেয়ে বড় ভুল হলো বারবার চালু ও বন্ধ করা। এতে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়। তার মতে, এসির তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলে আরাম পাওয়া যায় এবং বিদ্যুৎ খরচও নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়ম মেনে এসি ব্যবহার করলে বিলের চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

ফ্রিজের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার
ফ্রিজ সারাক্ষণ চালু রাখার অভ্যাসও বিদ্যুৎ খরচ বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে অন্তত এক ঘণ্টা ফ্রিজ বন্ধ রাখলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। ফ্রিজের ভেতরে আগে থেকেই ঠান্ডা জমে থাকায় এই সময়ে খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বরং যন্ত্রটি কিছুটা বিশ্রাম পায়, যা ফ্রিজের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সামান্য সচেতনতাই বড় সাশ্রয়
সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বড় কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। দৈনন্দিন জীবনের ছোট অভ্যাসে সামান্য সচেতনতা আনলেই বিদ্যুৎ অপচয় কমানো সম্ভব। এতে একদিকে যেমন মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল পকেটের মধ্যে থাকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যাবে।
এজেড