images

তথ্য-প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটি যেভাবে ‘রাইটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট’ হয়ে উঠল

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম

ডিজিটাল যুগে তথ্যের গতিবেগ এত দ্রুত বেড়ে গেছে যে, সাংবাদিক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য প্রতিটি মিনিট মূল্যবান। এ প্রসঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি উদ্ভাবনী সরঞ্জাম হিসেবে উঠে এসেছে চ্যাটজিপিটি, যা ধীরে ধীরে শুধু চ্যাটবট নয়, বরং ব্যক্তিগত রাইটিং অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে।

ড্রাফট থেকে প্রকাশযোগ্য লেখা, সবই সহজ

চ্যাটজিপিটি লেখালেখির জটিলতা কমিয়ে দিয়েছে। একটি কাঁচা তথ্য বা তথ্যভিত্তিক নোট দিলে এটি তা দ্রুত সম্পূর্ণ ফিচার, নিউজ আর ব্লগে রূপান্তর করতে পারে। প্রয়োজনীয় ইনট্রো, হাইলাইটস, বিশ্লেষণ, পরিসংখ্যান— সবই স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়, যা একজন সাংবাদিকের জন্য বিপুল সময় বাঁচায়।

hq720

ভাষা ও স্টাইলের মান বজায় রাখা

ফিচার বা নিউজ লেখা মানসম্পন্ন হতে হলে ভাষার সাবলীলতা অপরিহার্য। চ্যাটজিপিটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইংরেজি শব্দ বাংলায় রূপান্তর, জটিল বাক্য সরল করা, প্যারাগ্রাফের লেআউট সাজানো এবং সাংবাদিকতার স্টাইল বজায় রাখা সম্ভব করে। ফলে লেখক শুধু বিষয়বস্তুর উপর মনোযোগ দিতে পারে, আর পাঠক সহজে বিষয়বস্তু বুঝতে পারে।

এসইও এবং মেটা তথ্যের সহায়ক

ডিজিটাল কনটেন্ট শুধু পাঠকের জন্য নয়, সার্চ ইঞ্জিনেও দৃশ্যমান হতে হবে। চ্যাটজিপিটি মেটা টাইটেল, ডেসক্রিপশন, কিওয়ার্ড এবং সামারি তৈরিতে সহায়তা করে, যা ওয়েবসাইটের এসইও শক্তিশালী করে। ফলে, একটি ফিচার বা নিউজ পাঠকের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি সার্চ র‍্যাঙ্কেও উন্নতি পায়।

176396840912152_P31072705

সৃজনশীলতা এবং নতুন ধারণা

চ্যাটজিপিটি কেবল তথ্যভিত্তিক লেখায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি গল্প, সিরিজ ফিচার, চরিত্র নির্মাণ এবং সৃজনশীল ড্রাফট তৈরিতেও সহায়তা করে। এটি সাংবাদিক বা লেখকের জন্য নতুন ধারার ধারণা ও ক্রিয়েটিভিটি যোগ করে, যাতে লেখা আরও আকর্ষণীয় এবং পাঠকবান্ধব হয়।

সময় ও শ্রমের সাশ্রয়

চ্যাটজিপিটির অন্যতম বড় সুবিধা হলো সময় সাশ্রয়। লেখক সময় বাঁচিয়ে মূল গবেষণা, বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিংয়ে মনোযোগ দিতে পারেন। ফলে, একে বলা যায় কেবল একটি টুল নয়, প্রকৃতপক্ষে এটি একজন লেখকের ব্যক্তিগত সহকারী।

আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটির ভুল ডাক্তারি পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি রোগী

চ্যাটজিপিটি কেবল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রাম নয়। এটি সাংবাদিক, ব্লগার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, যে কেউ এর জন্য রাইটিং অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে নিজেদের লেখালেখি আরও দ্রুত, প্রফেশনাল এবং কার্যকরী করার সুযোগ দেয়। প্রযুক্তি আর সৃজনশীলতার এই সংমিশ্রণ ভবিষ্যতে লেখালেখির ধারা বদলে দিতে পারে।

এজেড