তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫২ এএম
যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তারা সকলেই জানেন যে, সমস্ত ফোনেই ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড নামে একটি ফিচার থাকে। এটি আসলে ফোনের এমন একটি বিশেষ ফিচার, যা ফোনের সমস্ত ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বিশেষ করে বিমানে বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ব্যবহারকারীরা এই ফিচারটি ব্যবহার করেন, যাতে ফোন থেকে বেরিয়ে আসা রেডিও সিগন্যালগুলো বিমানের নেভিগেশন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ না করে এবং বিমান পরিবহনকে সচল রাখে। কিন্তু বেশিরভাগ ফোন ব্যবহারকারীই হয়তো জানেন যে, ফ্লাইট মোড কেবল বিমানের জন্যই কার্যকর নয়, বরং আরও অনেক ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, এই বিশেষ মোডের অন্যান্য সুবিধাগুলো।
ব্যাটারি সাশ্রয়ের সেরা উপায়
যেখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না, সেখানে ফোন সাধারণত সিগন্যাল হারিয়ে ফেলে এবং ক্রমাগত সিগন্যালের অনুসন্ধান করে চলে, যার কারণে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড চালু করে রাখলে এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাটারি সাশ্রয় হয়।

চার্জিংয়ের গতি বৃদ্ধি করার জন্য
যারা নিজেদের ফোন দ্রুত চার্জ করতে চান, তাহলে ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড অন করে চার্জে বসাতে হবে। ফোন নেটওয়ার্ক অনুসন্ধান বন্ধ করলে, চার্জিংয়ের গতি সাধারণত ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়ার সময়
যেসব অভিভাবক নিজেদের বাচ্চাদের হাতে গেম খেলা বা ভিডিও দেখার জন্য ফোন দেন, তারা ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড অন করে ফোনটি দিতে পারেন। এতে মোবাইল ডেটা বন্ধ হয়ে যাবে এবং শিশুটি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না।
ফোন গরম হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য
সাধারণত সিগন্যাল না থাকলে ফোন অতি দ্রুত গরম হয়ে যেতে থাকে। তাই সেক্ষেত্রে ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড চালু করে রাখলে ফোন ঠান্ডা থাকে। কারণ ফোন নেটওয়ার্ক সার্চ করতে পারে না।

ডিসট্রাকশন ফ্রি মোড
পড়াশোনা বা কাজের সময় ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোড অন করে রাখা যেতে পারে। অর্থাৎ এটিকে ডিসট্রাকশন ফ্রি মোড (Distraction Free Mode) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নোটিফিকেশন যাতে বারবার ফোনে না আসে, তার জন্য ফ্লাইট মোডই হল সবচেয়ে ভালো উপায়। এর ফলে ফোনে কল এবং মেসেজও আসা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ফোন রিসেট করবেন নাকি ফ্যাক্টরি রিসেট করবেন?
তবে এই মোড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ফোনে ফ্লাইট মোডের পাশাপাশি একইসঙ্গে ইন্টারনেটও কি ব্যবহার করা যাবে? উত্তর হল হ্যা।
আসলে ফ্লাইট মোড চালু করার পর ব্যবহারকারী ম্যানুয়ালি ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ চালু করতে পারেন। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটও ব্রাউজ করতে পারেন এবং হেডফোনও কানেক্ট করতে পারবেন।
এজেড