স্মার্টফোন ধীরে চলছে, হ্যাং করছে বা বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দিচ্ছে? সমাধান খুঁজতে গিয়ে আপনি হয়তো ভাবছেন ‘ফোন রিসেট করব, নাকি ফ্যাক্টরি রিসেট করব?’ এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি, কারণ একটির প্রভাব হালকা, অন্যটির প্রভাব ব্যাপক।
চলুন জেনে নিই কোন রিসেট কবে করবেন, এবং দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য ঠিক কী।
বিজ্ঞাপন
ফোন রিসেট বলতে কী বোঝায়?
‘ফোন রিসেট’ শব্দটি অনেক সময় সাধারণভাবে ব্যবহৃত হলেও, এটি মূলত ফোনের Settings রিসেট, নেটওয়ার্ক রিসেট কিংবা অ্যাপ প্রেফারেন্স রিসেট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণস্বরূপ:
Only Settings → Reset all settings
বিজ্ঞাপন
Network Settings → Wi-Fi, Bluetooth, Mobile Data সংক্রান্ত সমস্যা
App Preferences → ডিফল্ট অ্যাপ বা অ্যাপ পারমিশন সমস্যার সমাধান
ফলাফল:
আপনার ব্যক্তিগত ডেটা, ছবি, অ্যাপ — কিছুই মুছে যাবে না। শুধু ফোনের সেটিংস ডিফল্ট হয়ে যাবে।
ফ্যাক্টরি রিসেট কী?
Factory Reset মানে ফোনকে একদম ‘নতুন কেনা’ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এতে—
সমস্ত অ্যাপ, ফাইল, ছবি, কনট্যাক্ট, ডাউনলোড—সব মুছে যাবে

ফোনে থাকা সব সেটিংস রিসেট হয়ে যাবে
ফোন একেবারে পরিষ্কার ও ঝরঝরে হয়ে যাবে
কখন করবেন?
ফোনে ভাইরাস ঢুকেছে
অতিরিক্ত স্লো বা হ্যাং করছে
ফোন বিক্রি বা অন্য কারও হাতে দেওয়ার আগে
বড় কোনো সফটওয়্যার সমস্যা হলে
সতর্কতা:
Factory reset দিলে ফোনের সব ডেটা চলে যাবে। তাই অবশ্যই ব্যাকআপ নিয়ে রাখতে হবে।
তাহলে কী করবেন?
যদি শুধু নেটওয়ার্ক সমস্যা, ব্লুটুথ কানেকশন বা কিছু সেটিংস নিয়ে সমস্যা হয়—তাহলে সাধারণ ফোন রিসেট যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: একটি স্মার্টফোন কত দিন ব্যবহার করা যায়?
কিন্তু যদি ফোন প্রচণ্ড ধীরগতির হয়, ফাইল অপ্রয়োজনীয়ভাবে জমে থাকে বা ভাইরাস/ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হয়—তবে ফ্যাক্টরি রিসেট করাই ভালো।
রিসেটের ধরন নির্ভর করে আপনার সমস্যার ধরনের উপর। ছোটখাটো সমস্যায় সাধারন রিসেট যথেষ্ট হলেও, বড় সমস্যা বা ফোন বিক্রির আগে ফ্যাক্টরি রিসেটই সঠিক পদক্ষেপ। অবশ্যই রিসেটের আগে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন—এটাই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।
এজেড

