images

তথ্য-প্রযুক্তি

পৃথিবী স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ঘুরছে, ছোট হচ্ছে দিন-রাত

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম

মহাবিশ্বে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য আর একটাও গ্রহ নেই। নিজের অক্ষের ঘোরার ফলে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় দিন ও রাতের।  সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের দ্বারা করা একটি গবেষণা সবার মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, পৃথিবী এখন তার স্বাভাবিকের তুলনায় আরও দ্রুত ঘুরছে, যার ফলে দিনের দৈর্ঘ্য কয়েক মিলিসেকেন্ড করে ছোট হয়ে যাচ্ছে। যদিও এই পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো নয়, তবে এটি সময় নির্ধারণ ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

সাধারণত, পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ধীরে ধীরে কমে আসছে। যার কারণে পারমাণবিক ঘড়ির সাহায্যে ‘লিপ সেকেন্ড’ যোগ করা হয় সময় নির্ভুল রাখতে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে পৃথিবীর গতি ক্রমশ বাড়ছে। তাদের অনুমান, ২০২৯ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি লিপ সেকেন্ড বাদ দিতে হতে পারে। এর অর্থ, সময় পৃথিবীর সূক্ষ্ম গতিশীলতা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। অর্থাৎ সময়ের হিসাব পৃথিবীর সূক্ষ্ম গতি পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন: তার ছাড়াই বিদ্যুৎ পরিবহন করা সম্ভব?

পৃথিবী প্রতি ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ডে নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘোরে। একেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় আমরা দিন বলে থাকি। তবে সময়ের এই দৈর্ঘ্য কোনওভাবেই স্থায়ী নয়। পৃথিবীর ঘূর্ণন বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন, চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় টান এবং অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হয়, যার ফলে সময়ের হিসাবেও পরিবর্তন আসে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস, ভবিষ্যতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে বাড়তে ২৫ ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারে, তবে তা হতে প্রায় ২০ কোটি বছর লাগবে।

EARTH

২০২০ সাল থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি বাড়ার প্রবণতা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস (আইইআরএস) অনুযায়ী, এই পরিবর্তনের ফলে প্রতিদিনই সময়ের দৈর্ঘ্য কিছু মিলিসেকেন্ড কমে যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ২০২৯ সালে সময়ের ইউটিসি থেকে একটি লিপ সেকেন্ড বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

জানা যাচ্ছে, দিনের এই ছোট হওয়ার প্রবণতা কমপক্ষে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। বিজ্ঞানীরা তিনটি নির্দিষ্ট তারিখও গণনা করেছেন যখন পৃথিবীর ঘূর্ণন দ্রুত হবে। ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ আগস্ট ২০২৫। USA Today এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ আগস্ট, একটি দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৫১ মিলিসেকেন্ড কম হতে পারে। মানুষ এই পরিবর্তনটি উপলব্ধি করতে নাও পারে, তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময় নির্ধারণ ব্যবস্থা সঠিক হওয়া প্রয়োজন।

এজেড