তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১৮ জুন ২০২৫, ১১:২৪ এএম
প্রতিদিনের জীবনে স্মার্টফোন এখন অতি প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। কিন্তু অনেকেই জানেন না, একটি স্মার্টফোন কত দিন ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় বা তার কার্যক্ষমতা কতদিন থাকে। কেউ ফোন কেনার সময় দাম, ডিজাইন ও ক্যামেরার দিকে নজর দিলেও, ফোনটি দীর্ঘদিন ভালোভাবে চলবে কি না—এই দিকটি অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যায়। এই প্রতিবেদনে জানানো হলো একটি স্মার্টফোন গড়ে কতদিন টেকে, কীভাবে তার আয়ু বাড়ানো যায় এবং কখন ফোন বদলানোর সময় হয়।
একটি স্মার্টফোন সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহারযোগ্য থাকে। তবে এটি নির্ভর করে ফোনের মান, নির্মাণ উপকরণ, সফটওয়্যার আপডেট এবং ব্যবহারকারীর যত্নের ওপর। আইফোনের মতো প্রিমিয়াম ফোনগুলো ৫-৬ বছর পর্যন্ত ভালো পারফর্ম করে, যেখানে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ফোন গড়ে ২-৩ বছরেই পারফরম্যান্সে ধীরগতির হয়ে পড়ে।

হার্ডওয়্যারের মান: শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত ব্যাটারি এবং ভালো কনস্ট্রাকশনের ফোন বেশি দিন টেকে।
সফটওয়্যার আপডেট: যেসব ফোন নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পায়, সেগুলো অনেক দিন নিরাপদ ও দ্রুত থাকে।
ব্যবহার পদ্ধতি: যদি ফোনে নিয়মিত ভারী গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং বা দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্রিমিং করা হয়, তাহলে ফোন দ্রুত পুরনো হয়ে যেতে পারে।
ব্যাটারির অবস্থা: ব্যাটারি হচ্ছে এমন একটি অংশ, যা সবচেয়ে আগে দুর্বল হয়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ২-৩ বছর পর ব্যাটারির ব্যাকআপ কমে যায়।

ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে বাঁচান।
নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন।
চার্জ ২০%-৮০% এর মধ্যে রাখতে চেষ্টা করুন।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ও ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা বন্ধ রাখুন।
ভালো মানের চার্জার ও কভার ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনে সময়মতো ব্যাটারি পরিবর্তন করুন।
কখন বুঝবেন ফোন বদলানোর সময় হয়েছে?
ফোনে আর সফটওয়্যার আপডেট আসে না।
ব্যাটারির ব্যাকআপ এক ঘণ্টার নিচে নেমে গেছে।
ফোন খুব ধীরগতিতে চলছে, হ্যাং করছে।
নতুন অ্যাপ ইন্সটল করা যাচ্ছে না।
ক্যামেরার মান বা পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফোনের ক্যামেরার লেন্সে পানি ঢুকলে করণীয়
স্মার্টফোন কতদিন ব্যবহার করা যাবে, তা নির্ভর করে আপনি সেটিকে কীভাবে রক্ষা করছেন এবং কতটা যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর। সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন ৪-৫ বছর পর্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। তাই নতুন ফোন কেনার আগে শুধু চমকপ্রদ ফিচার নয়, ফোনের স্থায়িত্ব ও আপডেট সাপোর্টও গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
এজেড