তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১২ জুন ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি হয়ে উঠেছে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম জনপ্রিয় পথ। টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ফেসবুকে এখন প্রতিনিয়তই জন্ম নিচ্ছেন নতুন নতুন ইনফ্লুয়েন্সার। তাদের অনেকে আজ কোটি টাকার ব্র্যান্ড চুক্তিতে কাজ করছেন, আবার অনেকে ব্যবহার করছেন প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিজের দক্ষতা ও চিন্তাভাবনা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে। আপনি যদি নিজেকে একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে গড়ে তুলতে চান, তবে এখনই সময় প্রস্তুতি নেওয়ার।
একজন ইনফ্লুয়েন্সার হলেন এমন ব্যক্তি, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেন। ফ্যাশন, প্রযুক্তি, শিক্ষা, ভ্রমণ, ফিটনেস—যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে নিজের দক্ষতা বা ব্যক্তিত্ব দিয়ে তিনি তার ফলোয়ারদের মন জয় করেন।
সবার জন্য সব কিছু হতে গেলে কেউই আপনাকে মনে রাখবে না। তাই ফ্যাশন, মেকআপ, রান্না, ট্রাভেল, বই, শিক্ষা—আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার জায়গা থেকে একটি বিষয় বেছে নিন।

আপনার কনটেন্টের ভাষা, পোশাক, ক্যাপশন, রঙের ব্যবহার—সব কিছু যেন মিলেমিশে একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করে। আপনি সিরিয়াস, মজার না কি শিক্ষামূলক—আপনার টোন স্থির করুন।
প্রতিদিন বা নির্দিষ্ট সময় পরপর কনটেন্ট আপলোড করুন
ভিডিও/ছবির কোয়ালিটি ভালো রাখুন
অডিও, আলো, ব্যাকগ্রাউন্ড—সবকিছু ভাবনা-ভাবনা করে সেট করুন
শুধু ফেসবুকে নয়, চেষ্টা করুন ইনস্টাগ্রাম রিলস, ইউটিউব শর্টস, টিকটক, এমনকি লিংকডইনেও কনটেন্ট রাখতে। এতে করে ভিউয়ার ও ফলোয়ার বেস বাড়ে।

কমেন্টের উত্তর দিন
লাইভে আসুন
Q&A বা পোল চালিয়ে ফলোয়ারদের মতামত নিন
কখনো কখনো ব্যক্তিগত গল্পও শেয়ার করুন
কোন গান বা হ্যাশট্যাগ ভাইরাল, কোন টাইমে পোস্ট করলে বেশি রিচ হয়—এসব বিষয় অনুসরণ করুন। সোশ্যাল মিডিয়া শুধু সৃজনশীলতা নয়, বিশ্লেষণেরও জায়গা।
প্রথম অবস্থায় লোকাল ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কোলাব করুন, অন্যদের কনটেন্টে গেস্ট হিসেবে আসুন। এতে আপনার পরিচিতি বাড়বে।
আরও পড়ুন: ঈদে ছবির বন্যায় ফোনের স্টোরেজ ফুল? জানুন ছবি সংরক্ষণের সেরা উপায়
শুরুতে হয়তো অর্থ আসবে না, তবে কনটেন্টে ধীরে ধীরে ব্র্যান্ড, অ্যাফিলিয়েট লিংক, স্পন্সর, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি যুক্ত করে আয় করতে পারেন।
কপি পেস্ট কনটেন্ট
ভুয়া ফলোয়ার বা বুস্টিংয়ের মাধ্যমে নিজেকে বড় দেখানো
বিতর্কিত, আপত্তিকর বা ক্লিকবেইট পোস্ট
অতিরিক্ত ব্র্যান্ডিং যেটা দর্শকের কাছে বোরিং মনে হয়
ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরি হলো ধৈর্য, ধারাবাহিকতা আর নিজস্বতা। শুরুতে ফলোয়ার কম থাকবে, রিচ কম হবে—তবু থেমে গেলে চলবে না। আপনি যদি সত্যিই কিছু দিতে চান, মানুষ একসময় আপনাকে খুঁজবেই।
এজেড