তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
০১ মে ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
দিনকে দিন গরম বেড়েই চলেছে। এই সময় যদি এসি কাজ না করে তবে চিন্তার শেষ নেই। তখন টেকনিশিয়ানের কাছে যেতে হয়। কিন্তু ছোট খাটো কিছু সমস্যা হলে আপনি নিজেই তা বুঝতে পারবেন, এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নিতে পারবেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এসির গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়া।
আপনি যদি এসির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমাতে চান তবে কিছু সাধারণ বিষয় আপনাকে জানতে হবে। কিছু বিশেষ উপায়ে আপনি নিজেই জানতে পারবেন যে আপনার এসিতে থাকা গ্যাস আসলেই ফুরিয়ে গিয়েছে কিনা। আর এই কাজ আপনি করতে পারবেন কোনও যন্ত্র ছাড়াই।
কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে আপনি ঘরে বসেই নিজেই এসি স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন এবং একজন মেকানিকের খরচ বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন।

এসি ঠান্ডা করার দিকে খেয়াল রাখুন: দীর্ঘক্ষণ এসি অন করার পরও যদি ঘরে ঠান্ডা অনুভূত না হয় বা খুব কম ঠান্ডা হাওয়া থাকে, তবে এটি গ্যাস কম হওয়ার প্রথম লক্ষণ হতে পারে। কখনও কখনও ফিল্টার বন্ধ থাকা বা থার্মোস্ট্যাটে কোনও ত্রুটির কারণে ঠান্ডা হ্রাস পেতে পারে। তাই এমন ক্ষেত্রে মেকানিক ডাকয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
পাইপের দিকে নজর দিন: যদি কুলিং না হয় তবে এসির ইনডোর ইউনিট এবং আউটডোর ইউনিটে লাগানো পুরু পাইপের দিকে নজর দিতে হবে। এই পাইপে বরফের আস্তরণ দেখা গেলে বুঝতে হবে এসিতে গ্যাস কম রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যখন গ্যাস লিক ঘটে, তখন পাইপের উপর বরফ তৈরি হতে শুরু করে। এসিতে গ্যাসের চাপ কমে গেলে, পাইপের আর্দ্রতা জমে বরফে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: এসির তাপমাত্রা কেন ১৬ ডিগ্রির নিচে সেট করা যায় না?
শব্দে মনোযোগ দিন: আপনি যদি এসি চালু করার সময় সামান্য বুদবুদ শব্দ শুনতে পান তবে এটি কম গ্যাস চাপের লক্ষণও হতে পারে।
থার্মোমিটার ব্যবহার করুন: থার্মোমিটারের সাহায্যে এসির গ্যাসও পরীক্ষা করা যাবে। একটি সাধারণ ডিজিটাল থার্মোমিটার নিন এবং এটি এসির সামনে ধরে দাঁড়ান। ১০-১৫ মিনিট পরও যদি বাতাসের তাপমাত্রা ১৬-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে না পৌঁছায়, তাহলে বুঝতে হবে এসিতে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।
এজেড