images

তথ্য-প্রযুক্তি

অ্যাপল ওয়াচ থেকে শরীরে ক্যানসার হতে পারে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২ এএম

অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ। ওয়াচ ব্যান্ড তৈরিতে ক্ষতিকর রাসয়নিক ব্যবহার করে অ্যাপল, যা থেকে ক্যানসারসহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যাপল।

অভিযোগ উঠেছে, অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ ব্যান্ডে পিএফএএস এবং পলিফ্লুরোকলি সাবসট্যান্স (Polyfluoroalkyl substances) নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে। এই রাসায়নিকগুলোকে ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক’ বলা হয়। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশ ও মানুষের শরীরে থেকে যায় এবং ধীরে ধীরে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে।

এই নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালতে অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যাপল সব কিছু জানার পরেও প্রোডাকশন কস্ট কমাতে নিরাপদ উপাদানের পরিবর্তে পিএফএএস ব্যবহার করেছে।

watch

পিএফএএস-সংস্পর্শে এলে ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটি, প্রজননজনিত সমস্যা, কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ২২টি বিভিন্ন কোম্পানির ওয়াচ ব্যান্ডের ১৫টির মধ্যেই এই ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে। সাধারণত, টেকসই এবং ওয়াটারপ্রুফ করার জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তবে তা মানুষ ও পরিবেশ উভয়ের জন্য ক্ষতিকর।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের ওয়াচ ব্যান্ডে এই ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি গোপন করেছে। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ওশেন, নাইকি স্পোর্ট এবং স্পোর্ট সিরিজের মতো ব্যান্ড। অন্য দিকে, অ্যাপলের দাবি, তাদের ওয়াচ ব্যান্ডে ফ্লুরোইলাস্টোমার  নামক এক ধরনের সিন্থেটিক রাবার ব্যবহার করা হয়, যা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যবিধির মানদণ্ড মেনে তৈরি।

আরও পড়ুন: ‘ডিপসিক’ নিয়ে কেন এত হইচই?

ম্যাশেবলকে দেওয়া এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, ‘অ্যাপল ওয়াচ ব্যান্ড ইউজারদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এতে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নেই। ব্যান্ডে ব্যবহৃত উপাদানগুলো কোম্পানির নিজস্ব গবেষণাগারে পরীক্ষার পাশাপাশি স্বাধীন গবেষণাগারগুলোতেও কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়।’

watch3

তবে মামলায় বলা হয়েছে, অ্যাপল তথ্য গোপন করেছে এবং ব্যান্ডগুলোর আসল উপাদান সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছে।

অ্যাপল ওয়াচ মূলত স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের জন্য তৈরি। কিন্তু মামলাকারীর অভিযোগ, ‘যে পণ্য স্বাস্থ্যসচেতনতার বার্তা দেয়, সেটিই এখন ব্যবহারকারীদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।’

অ্যাপলের মতো টেক কোম্পানির দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সন্দেহ জাগছে গ্রাহকদের মনেও। এখন গ্রাহকদের বিশ্বাস অটুট রাখতে অ্যাপল কী করে সেটাই দেখার।

এজেড