তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
গুগলের জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যেখানে ভিডিও শেয়ার করে আয় করা যায়। এদেরকে বলা হয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর।নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। কী করলে রোজগার হয় সেই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা অনেকেরই থাকে না। কত ভিউ হলে আসবে কত টাকা তা অনেকেরই জানা নেই। জানুন ইউটিউবে ১০০০ ভিউ হলে কত টাকা আয় হয়।
আরও পড়ুন: ইউটিউবে ৫০০ ভিউ হলে কত আয় হয়?
১০০০ ভিউ হলে কি টাকা পাবেন? নির্ভর করছে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। কী কী বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকে চ্যানেলের আয়? চ্যানেলের টপিক, ভিউয়ারের লোকেশন এবং বিজ্ঞাপনের গুণমান। কস্ট পার মাইল (Cost per Mille) হল সেই স্কেল যার নিরিখে বোঝা যায় ১০০০ ভিউয়ের জন্য আয় কত হবে। সাধারণত ০.৫ ডলার থেকে ০.৭ ডলারের মধ্যে। দেশ ভেদে এই আয় বদলে যায়।

ইউটিউবের কিছু বিজ্ঞাপন স্কিপ করা যায়, কিছু যায় না। যে বিজ্ঞাপন স্কিপ করা যায় না, সেগুলো থেকে আয় বেশি হয়। বিজ্ঞাপনদাতারা কিছু ক্যাটাগরির জন্য বেশি আগ্রহী হন। কস্ট পার মাইল কোনগুলিতে বেশি হয় জানেন? সেগুলো হল, ফিন্যান্স, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভিডিও চ্যানেলের ক্ষেত্রে। এখানে লাভের অংকটা বেশি হয়।
আরও পড়ুন: ইউটিউব শর্টসে বড় পরিবর্তন, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয়ের সুযোগ বাড়ল
আমেরিকা, কানাডা এবং ইউরোপের ভিউয়ার হলে চ্যানেলের আয় বেশি হবে। অন্য দেশের ভিউয়ার হলে আয় কম হবে চ্যানেলের।

ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য যারা, তারা বেশি আয় করেন ভিউ থেকে। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি তাদের অন্যভাবে আয়ের পথ থাকে। যে সব কনটেন্টের এনগেজমেন্ট বেশি, সেই সব কনটেন্টে বিজ্ঞাপনদাতাদের আগ্রহ বাড়ে। সেগুলোর থেকে নির্মাতাদের আয় বেশি হয়। কস্ট পার মাইল বেশি হয়।
শিক্ষা, ব্যবসা কিংবা প্রযুক্তির কনটেন্ট বানালে তাই আয় বেশি হয় চ্যানেলের।
সব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন থাকে না। সেগুলোর ক্ষেত্রে আয় করা দুঃসাধ্য প্রায়। কেবল মাত্র বিজ্ঞাপন রয়েছে এমন ভিউ থেকেই লাভ হয় চ্যানেলের।
এজেড