images

তথ্য-প্রযুক্তি

স্মার্টফোনে কত ধরনের ডিসপ্লে হয়, কোনটা ভালো?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ এএম

স্মার্টফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তার ডিসপ্লে। কারণ এটাই টাচ স্ক্রিন হিসাবে কাজ করে। এর মাধ্যমেই ফোন ব্যবহার করেন ইউজারা।

স্মার্টফোনের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশও এটাই। স্ক্রিন নষ্ট হয়ে গেলে আর ফোন ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমানে স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরণের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়।

এলসিডি ডিসপ্লে: এলসিডি ডিসপ্লে মানে লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে। বেশিরভাগ ফোনে এটাই ব্যবহার করা হয়। দামও কম। চলেও অনেকদিন। সস্তা এবং টেকসই ডিসপ্লে খুঁজলে এলসিডি ডিসপ্লে আদর্শ।

আরও পড়ুন: আপনি কি পানি দিয়ে ফোন পরিষ্কার করেন? জানুন কী ভুল করছেন

ওএলইডি ডিসপ্লে: ওএলইডি মানে অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড। এতে প্রতিটা পিক্সেল নিজস্ব আলো তৈরি করে। ফলে স্পষ্ট ছবি দেখা যায়। এই ধরণের ডিসপ্লে খুব পাতলা হয়। এবং নমনীয়। ফোল্ডেবল স্মার্টফোনে ওএলইডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। এর দাম এলসিডি ডিসপ্লের চেয়ে বেশি।

dis

এএমওএলইডি ডিসপ্লে: এএমওএলইডি-এর অর্থ হল অ্যাকটিভ ম্যাট্রিক্স অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড। একে অ্যাকটিভ ম্যাট্রিক্স ওএলইডি স্ক্রিনও বলা হয়। স্মার্টফোনের জন্য এই ডিসপ্লেকেই আদর্শ মনে করা হয়। এর দাম বেশি।

সুপার এএমওএলইডি ডিসপ্লে: সুপার এএমওএলইডি ডিসপ্লে হল এএমওএলইডি ডিসপ্লের উন্নত সংস্করণ। খুব দ্রুত কাজ করে। প্রতিটা রঙ আলাদা আলাদা করে চেনা যায়। দামি স্মার্টফোনগুলিতে এই ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। এটা ব্যবহার করাও সহজ।

আইপিএস ডিসপ্লে: আইপিএস ডিসপ্লের পূর্ণ রূপ হল ইন প্লেইন স্যুইচিং। এতে সব রঙ নিখুঁত ভাবে দেখা যায়। এএমওএলইডি-এর তুলনায় এই ডিসপ্লে সস্তা। বেশিরভাগ বাজেট ফোনে এটাই ব্যবহার করা হয়।

কোন ডিসপ্লে আদর্শ?

 এককথায় এর উত্তর হয় না। কী কাজে ফোন ব্যবহার হবে, গোটাটাই তার উপর নির্ভর করছে। সাধারণ ইউজার, যাঁরা স্বাভাবিক স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান তাঁদের জন্য এলসিডি ডিসপ্লে বা আইপিএস ডিসপ্লে যথেষ্ট।

যদি কেউ স্মার্টফোনে ফটো বা ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে ওএলইডি ডিসপ্লে ভালো হবে। আর স্মার্টফোনে গেম খেলতে চাইলে সুপার এএমওএলইডি ডিসপ্লে রয়েছে এমন ফোন কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এজেড