images

তথ্য-প্রযুক্তি

ফোনে ভাইরাস ঢুকেছে কিনা বোঝার উপায়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ এএম

স্মার্টফোনে নানা কারণে ভাইরাস ঢুকতে পারে। কেননা, আপনি প্রতিদিন কত অজানা ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন। ক্লিক করেন অজস্র লিংক। কিন্তু, আপনি কি জানেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ক্রোম ব্রাউজার সব জায়গাতেই রয়েছে ম্যালওয়্যার ভাইরাস। যা একবার ফোনে ঢুকলে ফাঁস হতে পারে কন্টাক্ট লিস্ট থেকে ব্যাংকের পাসওয়ার্ড। ফোন আগে ভাগে নিরাপদ রাখতে এই লক্ষণগুলো চিনে নিন।

আরও পড়ুন: ফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা বোঝার উপায়

ফোনে এই লক্ষণ দেখলে সাবধান

স্মার্টফোনে সেভ রেখেছেন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন। তা কখন ফাঁস হয়ে যাবে ধরতেও পারবেন না। তবে, কিছু প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে বুঝতে পারবেন স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার ভাইরাস বা হ্যাকারদের খপ্পরে পড়েছে। ফোনের নিরাপত্তা সিস্টেম ইউজারকে সেই বিষয়ে অ্যালার্ট পাঠাতে শুরু করে। কিন্তু, অনেকেই এড়িয়ে যান সেই সব নোটিফিকেশন।

virus

আজকালকার ফোনে রয়েছে অ্যাডভান্স সিকিউরিটি। ফলে চট করে হ্যাকাররা ডিভাইসে ঢুকতে পারে না। কিন্তু, একজন ইউজার সারা দিনে কত অজানা ওয়েবসাইট এবং অ্যাপে ভিজিট করে। ক্লিক করে একাধিক লিংক। সেখান থেকেই ভাইরাস ঢুকে যায় স্মার্টফোনে। তবে তা বোঝার কিছু লক্ষণ রয়েছে।

ফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাস রয়েছে কীভাবে বুঝবেন?

গুগল অ্যাকাউন্ট সাইন আউট হয়ে গেলে
কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করা মাত্রই পপ-আপ বা এলার্ট নোটিফিকেশন এলে
ফোন স্লো হয়ে গেলে
অজান্তে ফোনে অনেকটা স্পেস দখল হয়ে গেলে
ব্রাউজার থেকে কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাডাল্ট কনটেন্টে রি-ডাইরেক্ট করলে
আপনার নামে বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে ভুয়ো মেসেজ গেলে
অজান্তে ফোনে অচেনা অ্যাপ/এপিকে ফাইল ডাউনলোড হলে

ফোনে এই ম্যালওয়্যার ভাইরাস কী?

কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাব - এই ধরনের ডিভাইসে যে সমস্ত ফাইল, স্পাইওয়ার বা ভাইরাস প্রবেশ করে তাকে বোঝানোর জন্য এটিকে সংক্ষেপে ম্যালওয়্যার ভাইরাস বলা হয়। মূলত, ওই ডিভাইসের ক্ষতি করার জন্য হ্যাকারদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ইনস্টল করানো হয়। তবে বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

vrius

ভাইরাস থেকে ফোন সুরক্ষিত রাখার উপায়

  • গুগলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুগলের মতে সবসময় প্লে প্রটেক্ট অন রাখবেন।
  • এটা করার জন্য প্লে স্টোরে গিয়ে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে সেটিংস অপ শনে যেতে হবে। তারপর সেখানে ফোনে থাকে সমস্ত অ্যাপ স্ক্যান করে নিতে পারবেন।
  • এর মধ্যে কোনও অ্যাপ ক্ষতিকর দেখালে সেটি তৎক্ষণাৎ আন-ইনস্টল করে দিন।
  • ফোনের সফটওয়্যার সবসময় লেটেস্ট ভার্সনে আপ-টু-ডেট রাখা উচিত। ফোনের নিরাপত্তা সিস্টেম আরও জোরদার হবে।
  • গুগল প্লে স্টোরের বাইরে অন্য কোনও প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত নয়।
  • স্মার্টফোনে এপিকে ফাইল ডাউনলোড করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
  • ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে কোনও ওয়েবসাইটে ভিজিট করার আগে, ব্রাউজারের সেটিংস অপশন > প্রাইভেসি সিকিউরিটি > সেফ ব্রাউজিং অপশনটি অন করে রাখুন।

এজেড