images

ফুটবল

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সোনার মানুষ ছাড়া হবে না: ব্যারিস্টার সুমন

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১০ পিএম

দেশের ফুটবলে সাড়া জাগানো ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল জয়পুরহাট খেলতে যান তিনি। সেখানে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সোনার মানুষ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সম্ভব না। তাছাড়াও লেখাপড়ার মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে তরুণদের উদ্ধুদ্ধ করেন তিনি।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার দুরুন্জ খেলার মাঠে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম ঢাকা উত্তরা ক্লাবের মধ্যকার ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচ শেষে কালাইয়ের মানুষের আতিথিয়েতায় মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন।

আরও পড়ুন- ‘বার্সেলোনা’ নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য, যা আপনাকে অবাক করবে

তিনি জানান, ‘কালাইয়ের মানুষ মনের দিক থেকে অনেক এলাকার মানুষ থেকে এগিয়ে আছেন। যারা এই খেলার আয়োজন করেছেন, তারা সবাই শ্রমজীবী মানুষ। এসব মানুষ যে এতো সুন্দর করে এই খেলার আয়োজন করেছেন, আপনারাই পারবেন কালাইকে অনেক দূর নিয়ে যেতে।’

তাছাড়াও কালাইয়ের তরুণদের মাদক থেকে দূরে থাকায় ধন্যবাদ জানান ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, ‘আপনারা ভাগ্যবান, যারা আপনাদের ডিস্টার্ব করার কথা, যাদেরকে পুলিশরা কন্ট্রোল করার কথা, আজকে তারা মাঠে আসছে। আপনারা এদের সহযোগিতা করেন। যেভাবেই পারেন সাহায্য করেন। তরুণদের শিক্ষিত করে তুলেন। ঘরে ঘরে মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলেন। দেখবেন এলাকার উন্নয়ন হবে। মনে রাখবেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সোনার মানুষ ছাড়া হবে না।’

দেশকে ভালোবাসার জন্য কালাইয়ের মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করেন ব্যারিস্টার সুমন। তাছাড়াও সিলেটের বন্যায় জয়পুরহাটের মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তার জন্যও ধন্যবাদ জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে সুমন বলেন, ‘এইখানে এক লোক আমারে আইসা বলল, ভাই আমি কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা পাঠাইসি। যে লোকটা পাঁচ হাজার টাকা পাঠাইসে, আমার বিশ্বাস এই লোকটার সম্পদ পাঁচ লাখ টাকা আছে কিনা জানিনা। তখনই আমার মনে হইসে কালাইয়ের পোলা মানে আশি টাকা তোলা। এরা আপনাদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবে।’

আরও পড়ুন- মোহাম্মদ সালাহ: মিশরীয় ফুটবলের রাজা

তাছাড়াও যেকোন কাজে ব্যারিস্টার সুমনের দরজা সবসময় খোলা আছে বলে জানান তিনি। কালাইয়ের ছেলে-মেয়েকে ব্যারিস্টার বানানোর জন্য যত ধরণের সহযোগিতা দরকার সেটাও করবেন বলে তিনি কথা দিয়েছেন। সুমন জানান, ‘লন্ডন যাওয়া থেকে শুরু করে যা লাগবে ব্যারিস্টার হতে, আমি সব করব। তাছাড়াও কোনও নিরীহ মানুষ যদি থাকে- যার জন্য হাইকোর্টে যাওয়া সম্ভব নয়, তার জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা আছে। সারাজীবন আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। আরও করব।’

সবশেষ কালাইয়ের মানুষকে সিলেট-হবিগঞ্জে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন ব্যারিস্টার সুমন। তাছাড়াও বলেন, ‘হবিগঞ্জে গিয়ে যদি কেউ কোন বিপদে পড়েন, তবে আমার বাড়ি চলে আসবেন। আমার দুইতলা বাড়ি আছে একটা। আপনারা সেখানে যেয়ে ঘুমাবেন। কেউ কিছু বললে বলবেন, আমি সুমনের আত্মীয়। আমি কালাইবাসীর জন্য আমার বাসা উন্মুক্ত করে দিলাম।’

এফএইচ