সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘বার্সেলোনা’ নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য, যা আপনাকে অবাক করবে

ফুয়াদ হাসান
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বার্সেলোনা’ নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য, যা আপনাকে অবাক করবে

গোটা ফুটবল বিশ্বে বার্সেলোনার আধিপত্যের কথা কমবেশি সবারই জানা। স্প্যানিশ লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব ফুটবলের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই দলটির রয়েছে সরব পদচারণা। তবে ক্লাবটি সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য আছে, যা অনেকেরই অজানা।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য।


বিজ্ঞাপন


মোর দ্যান আ ক্লাব

বার্সেলোনার পরিচায়ক বাক্য ‘মোর দ্যান আ ক্লাব’। যা স্প্যানিশ একনায়কতন্ত্র চলাকালীন সময় থেকে প্রচলিত। সে সময়ে কাতালুনিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বার্সেলোনা ছিল এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে মুক্তভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যেত। সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানাদির কারণে তাই বার্সেলোনা ‘মোর দ্যান আ ক্লাব’ নামে তখন থেকেই পরিচিত ছিল।

আরও পড়ুন- সিদ্দিকুর রহমান: বলবয় থেকে সফল গলফার


বিজ্ঞাপন


একজন সুইস ব্যক্তির হাত ধরে বার্সেলোনার গোড়াপত্তন

কাতালুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও বার্সেলোনা হ্যানস গ্যামপার নামক একজন সুইস ব্যবসায়ী গঠন করেছিলেন। যার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘এফসি জুরিচ’ ক্লাবটিও। তৎকালীন সময়ে এক স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর ১১ জন মানুষ গ্যামপারের ডাকে সাড়া দেন। পরবর্তীতে তিনিই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

বার্সেলোনার একাধিক ক্লাব

‘এফসি বার্সেলোনা’ এর পাশাপাশি, ‘আরসিডি এস্পানিওল’ বার্সেলোনার আরেকটি ক্লাব। যা বার্সেলোনা শহরের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। ব্যাপারটি অনেকেরই অজানা। আরসিডি এস্পানিওল ১৯০০ সালে গঠিত হয়েছিল, যা স্পেনের একমাত্র ফুটবল দল যা সম্পূর্ণ স্প্যানিশ খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন- ফুটবলে বাংলার মেয়েদের ‘বিপ্লব’

বার্সেলোনার সমর্থকদের ডাক নাম

‘দি আর্সেস’ ছিল ক্লাবটির সমর্থকদের ডাকনাম। গুজব রয়েছে, স্টেডিয়ামের সবচেয়ে উঁচু সারিতে থাকা সমর্থকরা তাদের পিছনের দিকে ঝুঁকে বসত। এতে করে পথচারীরা উপরের দিকে তাকালে শুধু সারি সারি ভাবে ‘কিউল’ দেখত। যার অর্থ পশ্চাৎদেশ।

ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় দল

একটি জরিপে দেখা যায়, ইউরোপের কোন ফুটবল ভক্তকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের দ্বিতীয় পছন্দের ফুটবল দল কোনটি? সে সময় সকলের দ্রুত উত্তর ছিল, বার্সেলোনা। এর মধ্যেই ক্লাবটি প্রচুর ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছে। তাছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বার্সেলোনার জনপ্রিয়তা বেশ তুঙ্গে।

আরও পড়ুন- বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে যেদিন ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ

ঘরের মাঠে সমর্থকদের অংশগ্রহণ বেজায় কম

এতটা জনপ্রিয় ক্লাব হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে সমর্থকদের অংশগ্রহণের স্বল্পতার ঘটনা রয়েছে। যার প্রধান কারণ, পুরো শহর জুড়ে বার ও ক্যাফেতে খেলা সম্প্রচার করা। এই জন্যই অল্প সংখ্যক মানুষ যায় স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে। তবে অনেকেই মনে করেন টিকেটের অধিক দামের কারণে মাঠে দর্শক স্বল্পতা হয়ে থাকে। তবে ক্যাম্প ন্যু’তে পর্যটকদের আনাগোনা খুব বেশি। ম্যাচগুলোতে যা বাড়তি উন্মাদনার জন্ম দেয়।

ক্লাবটির জার্সি তৈরির জন্য ছিল না কোনও ব্র্যান্ড

আধুনিক যুগের মাঝামাঝি সময়ে এসেও ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার ছিল না জার্সি তৈরির নিজস্ব কোনও ব্র্যান্ড। ছিল না ‘পুমা’ কিংবা ‘উম্রো’ সহ প্রসিদ্ধ কোনও ব্র্যান্ডও। এরপর প্রথম জার্সি ব্র্যান্ড হিসেবে স্থানীয় ‘মেইবা’ নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ক্লাবটি। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার টেকনিক্যাল স্পন্সর হয় জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘নাইক’।

এফএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর