স্পোর্টস ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২২, ১০:৩৩ এএম
বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে ব্রাজিল। সুইডেনে অনুষ্ঠিত সেবারের আসরে স্বাগতিকদের হারিয়েই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সেলেসাওরা। মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেই বিশ্বকাপে আবির্ভাব ঘটে জাদুকর পেলের। প্রথম বিশ্বকাপেই গোল করে জাত চেনান এই কালো মানিক।
১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপ শুরু হয় বেশ কিছু চমক দিয়ে। তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও ইতালি যোগ্যতাই পায়নি সেবারের আসরে অংশ নেয়ার। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার কাছেও সেই বিশ্বকাপ ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই দশ গোল হজম করে লাতিন আমেরিকার দলটি। বাজেভাবে হেরে সমর্থকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে তারা।
তবে নিজের খেলা প্রথম বিশ্বকাপেই জাদু দেখান পেলে। ১৭ বছর বয়সী পেলেকে প্রথম দুই ম্যাচে মাঠে নামানো না হলেও শেষ চার ম্যাচে ৬ গোল করেন তিনি। তাছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে জয়সূচক গোল করেছিলেন পেলে। তবে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের সঙ্গে হ্যাটট্রিক করে ফুটবল বিশ্বে নিজের জাত চেনান এই ব্রাজিলিয়ান। ফাইনালে দুই গোল করে দলকে এনে দেন বিশ্বকাপ শিরোপা।
সুইডেনের স্টকহমের রাসুন্দা স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বসে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। সেবারই প্রথমবারের মতো কোন ফাইনালের মঞ্চে এত দর্শক সমাগম ঘটে।
খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় অধিনায়ক লাইদহোমের গোলে এগিয়ে যায় সুইডেন। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। মাত্র পাঁচ মিনিট পরেই ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল করে দলকে সমতায় আনেন ভাভা। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪৩ মিনিটে আবারও গোল করে সুইডিশ দর্শকদের চুপ করে দেন এই ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন- ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতবে আর্জেন্টিনা
বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ৫৫ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পান পেলে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সেলেসাওদের লিড আরও বড় করেন জাগালো। তবে ম্যাচের ৮০ তম মিনিটে সুইডেনের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন সিমনসন। তবে সেই গোলে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সুইডিশরা। সবশেষ ম্যাচের ৯০ মিনিটে পেলের দ্বিতীয় গোলে ৫-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। আর এতেই বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় সেলেসাও বাহিনী।
আরও পড়ুন- অনন্য রেকর্ডের সামনে দানি আলভেজ
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের শিরোপা জয়ের পরেই পেলে নামক এক কিশোরের উত্থান দেখে বিশ্ব। যার হাত ধরেই পরবর্তীতে ব্রাজিলের ঘরে আসে দুইটি বিশ্বকাপ। এই তরুণই একসময় হয়ে ওঠে সেলেসাও দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও তিনবার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ফুটবলার।
এফএইচ