ফুয়াদ হাসান
২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৮ এএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে লাল বলের সংস্করণে বিশ্বসেরার মুকুট উঠেছিল নিউজিল্যান্ডের মাথায়। ক্রিকেটের দীর্ঘতম এই ফরম্যাটে ২০২১ সালে কেন উইলিয়ামসনের দল হয়েছিল সেরাদের সেরা। অথচ পরের বছরেই ঘরের মাটিতে শোচনীয় হারের স্বাদ পেতে হয় কিউইদের।
ডিসেম্বর, ২০২১। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় টিম বাংলাদেশ। দলের অধিনায়ক ছিলেন মুমিনুল হক। বে ওভালে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি মাঠে গড়ায় ১লা জানুয়ারি, ২০২২। তখনও দেশ বা দেশের বাইরে টেস্ট ক্রিকেটে কিউইদের হারাতে পারেনি টাইগাররা। তাই বাড়তি চাপ নিয়েই সেবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রাখে মুমিনুল নেতৃত্বাধীন দল। নয়া বছরে নতুন উদ্যোমে নেমে পড়েন ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলামরা।
আরও পড়ুন- এমবাপে নয় গোল্ডেন বুটের ‘মালিক’ হতো মেসি, বেরিয়ে এলো আসল রহস্য
১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সেই টেস্টে ডেভন কনওয়ের শতরান, হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়ংদের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান স্কোরবোর্ডে তুলে নিউজিল্যান্ড। এর জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ৪৫৮ রান। মুমিনুল হক, নাজমুল শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়দের ব্যাটে ১৩০ রানের লিড পায় টাইগাররা। ইতিহাস গড়ার শেকড়টা তখন থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশকে।
এরই ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় ইনিংসে টম লাথাম, রস টেইলরদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। ইবাদত, তাসকিনদের বোলিং তোপে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। ইবাদত নেন ৬ উইকেট। তাসকিনের শিকার ৩টি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ৪০ রান।
ঐতিহাসিক সেই জয় তুলে নিতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। এর আগে দেশ বা দেশের বাইরে কিউইদের বিপক্ষে টেস্টে জয় ছিল না টাইগারদের। অবশেষে দশম বারের চেষ্টায় টেস্টে ‘কিউই বধ’ সম্পূর্ণ হয় ইবাদত-তাসকিনের হাত ধরে। সেটাও আবার নিউজিল্যান্ডের আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পরপরই।
আরও পড়ুন- বডি বিল্ডারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন, লড়বেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে
টাইগারদের সেই দাপুটে জয়ে নিজেদের মাটিতে উইলিয়ামসন- লাথামদের টানা ১৭ টেস্টে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে যায়। এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব ধরণের সংস্করণেই জয়ের স্বাদ অধরা ছিল তাইজুল-মিরাজদের। তাই এই জয় টেস্ট ফরম্যাট তো বটেই, নিঃসন্দেহে ২০২২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা সাফল্যও বলা চলে।
এফএইচ