images

ক্রিকেট

রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর যা বললেন লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ পিএম

ভারতের বেঁধে দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ খেলতে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে। ৪ উইকেটে ১২৮ রানের পুঁজি গড়া দলটি আচমকা ৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট ভারতীয় বোলারদের দিয়ে আসে। এই অবস্থায় জয়ের পথে ছুটতে থাকা বাংলাদেশ শিবিরে হুট করেই জাগে হারের শঙ্কা। সেখান থেকেই মিরাজ-মোস্তাফিজের ৫১ রানের জুটি দলকে দেয় স্বস্তির জয়।

ম্যাচশেষে এই জয়ের পর লিটন বলেন, ‘এই জয়ে আজ আমি খুব খুশি। আমি যখন ড্রেসিংরুমে ছিলাম, আমি সত্যিই নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু মুস্তাফিজ ও মিরাজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমি তা অনেক উপভোগ করেছি। আমাদের বোলাররা আজ শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করেছে। আমি ও সাকিব যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন আমরা ভেবেছিলাম আমরা সহজেই তাড়া করে জিততে পারব। তবে আমরা দুজনেই যখন আউট হয়ে যাই, তখন ব্যাপারটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমার দলের অন্যদের উপর বিশ্বাস ছিল। কিন্তু তারা আজ যা করে দেখালো এই অনুভূতি বর্ণনা করার জন্য আমার কাছে কোন শব্দ নেই। মিরাজকে অনেক অনেক অভিনন্দন’।

আরও পড়ুন- মিরাজ-মুস্তাফিজ জুটিতে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়

এর আগে দিনের শুরুতে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও টাইগার বোলারদের তোপে রানের খাতা বড় করতে পারেনি ভারতের ব্যাটাররা। সবশেষ লোকেশ রাহুলের ৭০ বলে ৭৩ রানে ভর করে ১৮৬ রানের পুঁজি পায় টিম ইন্ডিয়া।

সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। তাতেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর লিটন ও বিজয় উইকেটে টিকে থেকে রান তুলতে থাকলেও ২৯ বলে ১৪ রান করে সিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। এরপর দলের ক্রান্তিকালে টাইগারদের ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেন ওপেনার লিটন ও সাকিব।

আরও পড়ুন- বাবার পেনাল্টি মিসেই অজ্ঞান মেয়ে!

তবে ৪১ রানে লিটন সাজঘরে ফিরলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। লিটনের ফেরার পর দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন সাকিবও। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুর্দান্ত সেই ক্যাচ লুফে নিয়ে দলকে নির্ভার করেন কোহলি।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। ১২ বলে ৬ রান করে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফিরলে টাইগাররা পেতে থাকে হারের পূর্বাভাস।  তবে সেই সময়ই বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন মিরাজ। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের জুটি। বাংলাদেশের হয়ে শেষ উইকেট জুটিতে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৩৯ বলে ৩৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। সঙ্গী মুস্তাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২ চারে ১১ বলে ১০ রান। আর এতেই অবিশ্বাস্য এক জয়ের সাক্ষী হয় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

এফএইচ/এসসিএন