ভারতকে ‘সুবিধামতো দেশপ্রেম’ বন্ধ করতে বললেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার

ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের মন কষাকষি এখন আর নতুন কিছু নয়। লম্বা সময় ধরেই দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলে না এ দুই দল। আইসিসি টুর্নামেন্ট বা এশিয়া কাপ এলেই এক দেশ আরেক দেশে গিয়ে খেলবে না- এমন গোঁ ধরে ঠোঁট বাকিয়ে বসে থাকে। ফলে টুর্নামেন্ট ভেস্তে যাওয়ার জোগাড়ও হয়। এবারের এশিয়া কাপ নিয়েও এমন শঙ্কা ছিল। 

তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে এশিয়া কাপ অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে। আর এ টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান একে অপরের বিপক্ষে মাঠেও নামবে। অথচ এর কয়েকদিন আগেই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান ভারতের সাবেকরা।

আরও পড়ুন- এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা

আরও পড়ুন- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে-কখন, দেখুন এক নজরে

লেজেন্ডস চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত না খেললেও এশিয়া কাপে ঠিকই খেলবে। ভারতীয়দের এমন আচরণকেই সুবিধাবাদী দেশপ্রেম বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া।

এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে কানেরিয়া লেখেন, ‘ভারতীয় খেলোয়াড়রা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) বয়কট করল, বলল এটা জাতীয় দায়িত্ব। কিন্তু এখন এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ঠিক আছে?’

তিনি আরও লিখেন, ‘যদি পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা ঠিক হয়, তাহলে ডব্লিউসিএল-এও খেলা উচিত ছিল। সুবিধামতো দেশপ্রেম ব্যবহার বন্ধ করুন। খেলাকে খেলাই থাকতে দিন, প্রচারণার হাতিয়ার বানাবেন না।’

গত ২০ জুলাই এজবাস্টনে ডব্লিউসিএলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। যদিও এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি, কিন্তু ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, শচীন টেন্ডুলকার, হরভজন সিং, ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠান ও সুরেশ রায়নার মতো তারকা ক্রিকেটাররা শহীদ আফ্রিদির উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানান। তাদের কিছু শর্ত পূরণ না হওয়ায় ভারতীয় দল ম্যাচে অংশ নেয়নি।

অন্যদিকে, আসন্ন এশিয়া কাপ ২০২৫ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে রাজি হয়েছে ভারত। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সম্প্রতি টুর্নামেন্টের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে উঠলে আবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর।