images

স্পোর্টস / ফুটবল

চোখের জলে ডি ব্রুইনাকে বিদায় জানালেন গার্দিওলা

স্পোর্টস ডেস্ক

২১ মে ২০২৫, ০১:১১ পিএম

গতকাল রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ছিল অদ্ভুত এক পরিবেশ। মাঠে ফুটবল ছিল, স্কোরবোর্ডে জয়ও এসেছিল, কিন্তু চোখের কোনে ছিল পানি। কারণ, এই ম্যাচেই শেষবারের মতো সিটির জার্সিতে হোম ম্যাচ খেলেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। বিদায়টা এতটাই আবেগঘন হয়ে ওঠে যে চোখ ভিজে যায় কোচ পেপ গার্দিওলারও।

৩৩ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে ক্লাব কিংবদন্তি বলতে এখন আর কেউ দ্বিধা করে না। বিদায়ের আগে ঘোষণাও এলো, স্টেডিয়ামের বাইরে তার সম্মানে বানানো হবে একটি ভাস্কর্য। ডি ব্রুইনা নিজেও বললেন, "আমি সবসময় এখানেই থাকব।"

আরও পড়ুন- কেন মুখ ঢেকে কথা বলেন ফুটবলাররা?

আরও পড়ুন- সাঁতারুরাও কি সুইমিং পুলে প্রস্রাব করেন?

বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে সিটি। কিন্তু ডি ব্রুইনার জন্য ম্যাচটা মনে রাখার মতো হয়নি। প্রথমার্ধে একেবারে নিশ্চিত একটি গোল মিস করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোভাচিচ লাল কার্ড পেলে তাকেই উঠিয়ে নিতে হয়। এমনভাবে ক্যারিয়ারের শেষ হোম ম্যাচ শেষ হবে, কে ভাবতে পেরেছিল?

YHZ6Z3J3X5JCFEASRWXHMFFF5M

ম্যাচ শেষে মাঠেই সবার সামনে বক্তব্য দেন ডি ব্রুইনা। বলেন, "আমি চেয়েছিলাম সৃজনশীল ফুটবল খেলতে, আবেগ দিয়ে খেলতে। আমি খেলাটা উপভোগ করতে চেয়েছিলাম, আর আশা করি আপনারাও সেটা উপভোগ করেছেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই ক্লাব, এই শহর আমাকে প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ করেছে আরও ভালো হতে। যারা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তারা আমাকে আগের চেয়ে ভালো বানিয়েছেন। এই ছেলেদের সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্বিত। ওদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব সারাজীবনের জন্য থেকে যাবে।"

GrbHxiSXwAA2oT0

দশ বছরের সম্পর্কটা শুধু ট্রফি দিয়ে নয়, আবেগ দিয়েও গড়া। ডি ব্রুইনা ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৬টি শিরোপা, যার মাঝে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগসবই। শেষ বাঁশি বাজার পর মাঠে দাঁড়িয়ে পুরো দল, কোচিং স্টাফ, এমনকি সমর্থকরা একসঙ্গে তাকে জানালেন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন?

আরও পড়ুন- ফুটবল ম্যাচে গোলকিপারদের জার্সি যে কারণে দলের সবার চেয়ে আলাদা

গার্দিওলা ম্যাচ শেষে বলেন, "আজ সবাই দেখেছে সিটি পরিবার কেভিন আর তার পরিবারকে কতটা ভালোবাসে। ট্রফি তো সে জিতেছে অনেক, কিন্তু এতটা সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নিতে পারা, এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি নিজেও এই যাত্রার অংশ হতে পেরে গর্বিত। এটা সত্যিই দুঃখের দিন, কারণ আমরা ওকে খুব মিস করব।"

তিনি আরও যোগ করেন, "যখন কেভিন এখানে এসেছিল, তখন হয়তো সে সিটির সমর্থক ছিল না। কিন্তু এখন সে একজন শতভাগ সিটি-ভক্ত। এই সম্পর্কটা অনেক গভীর।" ফুটবল মাঠে আরও অনেক তারকা আসবে যাবে। কিন্তু কেভিন ডি ব্রুইনার মতো কেউ কেউ থাকবেন ইতিহাসে, আর সবসময় বেঁচে থাকবেন সমর্থকদের হৃদয়ে।