স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ মে ২০২৫, ০৯:২৬ এএম
গত সপ্তাহেই অগণিত ভক্তকে হতাশ করে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। লাল বলের ক্রিকেটকে কিংবদন্তি এই ব্যাটার বিদায় বলেই মুষড়ে পড়েছেন তার অনেক ভক্ত। এদিকে কাছাকাছি সময়েই প্রকাশিত হয়েছে ভারতের ২০২৫ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন) পরীক্ষার ফল। এ নিয়েও আলোচনা কম নয় দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সিবিএসইতে কোহলির মার্কশিট।
সিবিএসই বোর্ড যখন ২০২৫ সালের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে, ঠিক তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভিরাট কোহলির ২০০৪ সালের দশম শ্রেণির মার্কশিট। যদিও এই ছবিটি প্রথম ভাইরাল হয়েছিল ২০২৩ সালে, আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদবের শেয়ারের মাধ্যমে, এবার ফের তা উঠে এসেছে আলোচনায়। বিশেষ করে ভিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের প্রেক্ষাপটে।
আরও পড়ুন- কেন মুখ ঢেকে কথা বলেন ফুটবলাররা?
আরও পড়ুন- মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় আইপিএলের ম্যাচ বয়কটের দাবি!
৪১৯ নম্বর পেয়ে কীভাবে হয়ে উঠলেন জাতীয় গর্ব!
ভাইরাল হওয়া মার্কশিট অনুযায়ী, কোহলি দশম শ্রেণিতে মোট ৬০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ৪১৯। ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান আর হিন্দিতে বেশ ভালো নম্বর পেলেও গণিত, বিজ্ঞান আর আইটির নম্বর ছিল তুলনামূলক কম।

ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ৮৩, সমাজবিজ্ঞানে ৮১ আর হিন্দিতে ৭৫। অন্যদিকে গণিতে মাত্র ৫১, বিজ্ঞান ও টেকনোলজিতে ৫৫ এবং প্রাথমিক তথ্যপ্রযুক্তিতে পেয়েছিলেন ৭৪।
"মার্কই যদি সব হতো, তাহলে পুরো দেশ ওকে নিয়ে গর্ব করত না"
এই মার্কশিট শেয়ার করে আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদব লিখেছিলেন, "যদি কেবল নম্বরই সবকিছু নির্ধারণ করত, তাহলে আজ গোটা দেশ তার পাশে থাকত না। সাফল্যের আসল চাবিকাঠি হলো প্যাশন আর ডেডিকেশন।"

তার এই বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে। একজন ব্যবহারকারী লেখেন, “কোহলির আছে একটা বৈধ মার্কশিট + নিষ্ঠা = সাফল্য। আজ তিনি আমাদের জাতীয় গর্ব।”
আরও একজন লিখেছেন, “সফলতা শুধুই গণিত-বিজ্ঞান দিয়ে মাপা যায় না।” একজন তো বলেই ফেলেন, “নম্বর কেবল কাগজে লেখা কিছু সংখ্যা। প্রকৃত মূল্য দেখা যায় অধ্যবসায় আর নিবেদন থেকে।”
এই আলোচনার মাঝে আরও একবার আলোচনার কেন্দ্রে কোহলি, কারণ তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন। এক আবেগঘন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজেই জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের কথা।

কোহলি লিখেছেন, “আজ থেকে ১৪ বছর আগে আমি যখন প্রথমবার ‘ব্যাগি ব্লু’ পরে টেস্টে খেলতে নামি, তখন কখনও ভাবিনি এই ফরম্যাট আমাকে এত কিছু শিখাবে। টেস্ট ক্রিকেট আমাকে তৈরি করেছে, কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে চিনতে শিখিয়েছে। সাদা পোশাকে খেলা মানেই এক ধরনের ব্যক্তিগত সংগ্রাম—যা সবাই দেখে না, কিন্তু খেলোয়াড়ের মনে গেঁথে থাকে চিরদিন।”
অবসর প্রসঙ্গে কোহলি আরও লেখেন, “এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানো সহজ ছিল না। কিন্তু মনে হয়েছে, এটাই সঠিক সময়। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েছি, আর খেলাটাও আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে অনেক বেশি। তাই কৃতজ্ঞতা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি—এই খেলাকে, সেইসব সতীর্থদের যারা আমার সঙ্গে ছিল, আর সেইসব ভক্তদের যারা আমাকে আপন করে নিয়েছে।”
উল্লেখ্য, এর আগেই ২০২৩ সালের জুন মাসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন ভিরাট কোহলি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে তার উপস্থিতি এখনো বজায় থাকছে।