স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ মে ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পরই ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিল বিসিসিআই। তবে নতুন এই চুক্তির মেয়াদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্তই। আসন্ন এই টুর্নামেন্টের পর আর ভারতের কোচ থাকছেন না দ্রাবিড়। ফলে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাদের জন্য নতুন কোচের সন্ধানে আছে বিসিসিআই।
ভারতীয় জাতীয় দলের জন্য নতুন প্রধান কোচের পদে আবেদন চেয়ে গত ১৩ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিসিসিআই। কোহলিদের কোচ হতে কারা আগ্রহী, কারাই বা আবেদন করছেন তা এখনো জানা যায় নি। তবে বিসিসিআই বেশ কয়েকজন হাই-প্রোফাইল কোচের ব্যাপারে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- কবে মাঠে ফিরবেন নেইমার, জানালেন কোচ
আরও পড়ুন- হিটস্ট্রোকের পর কেমন আছেন শাহরুখ খান?
ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের প্রতি আগ্রহ আছে বিসিসিআইয়ের। এ কারণে সম্প্রতি সাবেক এই অস্ট্রেলিয় অধিনায়কের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এক সাক্ষাৎকারে পন্টিং নিজেই জানিয়েছেন এই খবর।
বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভারতীয় জাতীয় দলের কোচ হতে তিনি আগ্রহী কি না। তবে এমন প্রস্তাব পাওয়ার পরও কোহলিদের কোচ হতে চাননি পন্টিং। সাবেক এই অজি অধিনায়ক কেন ভারতের মত দলের কোচ হবেন না সে কথাও জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
পন্টিং বলেন, ‘এ নিয়ে (ভারতের কোচ হওয়া নিয়ে) আমি অনেক প্রতিবেদন দেখেছি। সাধারণত এ ধরনের বিষয় আপনি নিজে জানার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে আসে। তবে এটা ঠিক যে আইপিএলের সময় সরাসরি কিছু আলাপ–আলোচনা হয়েছিল। তারা (বিসিসিআই) শুধু এটা জানতে চেয়েছিল, আমি (ভারতের কোচ হতে) কতটা আগ্রহী।’
তবে সুযোগ থাকলেও এখন ভারতের কোচ হতে পারছেন না পন্টিং। কারণ ভারতের মত জাতীয় দলের কোচ হলে টানা কাজ করে যেতে হবে যা তাঁর বর্তমান জীবনধারার সঙ্গে যায় না। এমনকি বাড়ি ছেড়ে দীর্ঘলদিন থাকাও তাঁর জন্য সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন পন্টিং।
সাবেক এই অজি অধিনায়ক বলেন, ‘একটি জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে পারলে ভালোই হতো। কিন্তু আমার জীবনে আরও অনেক জিনিস আছে। আমি বাড়িতে সময় কাটাতে চাই। সবাই জানে, ভারতীয় দলের কোচ হলে আইপিএলের দলের সঙ্গে থাকা যায় না। তাই আমাকে একটা ছেড়ে আরেকটি বেছে নিতে হবে, তা ছাড়া জাতীয় দলের কোচকে বছরে ১০ থেকে ১১ মাস কাজ করতে হয়। তাই আমি যতই (ভারতের কোচ হতে) চাই না কেন, এটা ঠিক এই মুহূর্তে আমার জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাবে না এবং যে কাজগুলো আমি করতে পছন্দ করি, তা উপভোগ করতে পারব না।’
ভারতের কোচ হতে যে তাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সে কথা পন্টিং তাঁর নিজের ছেলেকে জানিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে ফ্লেচারও বাবাকে চাকরিটা লুফে নিতেই পরামর্শ দিয়েছিল। পন্টিং বলেন, ‘আমার পরিবার ও সন্তানেরা আইপিএলের সময় পাঁচ সপ্তাহ আমার সঙ্গেই কাটিয়েছে। ওরা প্রতিবছরই ভারতে আসে। আমি আমার ছেলের কানে চুপিচুপি কথাটা বলেছি, তোমার বাবাকে ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমার ছেলে বলল, ‘বাবা, তুমি চাকরিটা নিয়ে নাও। তাহলে আগামী কয়েক বছর আমরা ভারতেই থাকব।’
কিন্তু তবুও ভারতের কোচ হওয়া হচ্ছে না পন্টিংয়ের। কেননা জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা ভারতে থাকতে ও ভারতের ক্রিকেট সংস্কৃতিকে এতটাই পছন্দ করে। কিন্তু ওই যে বললাম, আমার জীবনধারার সঙ্গে এই মুহূর্তে চাকরিটা ঠিক যায় না।’