images

ইসলাম

মদিনা থেকে হজরত ওমরের নির্দেশ, ইরানে শুনেছেন সেনাপতি

ধর্ম ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:০০ পিএম

ইসলামি শরিয়তে কারামত, ইলহাম বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। ওমর (রা.)-এর একাধিক কারামতের বর্ণনা পাওয়া যায় হাদিসে। তেমনই একটি ঘটনা হলো—হজরত ওমরের খেলাফতকালে মসজিদে নববিতে খুতবা দেওয়ার সময় তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন- ‘সারিয়া! পাহাড়ে আশ্রয় নাও।’

সেই নির্দেশ শুনে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন ইরানের দক্ষিণে যুদ্ধরত সেনাপতি সারিয়া ও তাঁর অধীনস্থ সৈনিকেরা। আল্লাহ তাআলা ওমর (রা.)-কে শত্রুদের অবস্থান ইলহাম করেছিলেন বলেই তিনি সেনাপতি সারিয়াকে সতর্ক অবস্থানে যেতে নির্দেশ দিতে পেরেছিলেন। সেই যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী জয়লাভ করেন।

ঘটনাটি হলো- আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) নিজের খেলাফতকালে (ইরানের দক্ষিণ হামদান এলাকার নাহাওয়ান্দে) ‘সারিয়া’ নামক জনৈক সেনাপতির অধীনে একদল সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তারা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। তখন ওমর (রা.) মদিনার মসজিদে নববিতে খুতবা দিচ্ছিলেন (যেখানে ওসমান ও আলি (রা.) সহ বহু সাহাবি-তাবেয়ি উপস্থিত ছিলেন)। এসময় ওমর (রা.) চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন, হে সারিয়া! পাহাড়ে আশ্রয় নাও। এই গায়েবি আওয়াজ যুদ্ধ ক্ষেত্রে সবাই শুনতে পায়। তখন তারা পেছনে গিয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নেন। অতঃপর পুনরায় যুদ্ধ করে জিতে যান।’ (বায়হাকি দালায়েল: ২৬৫৫, ৭/১৮৬; মেশকাত: ৫৯৫৪; সহিহাহ: ১১১০)

আরও পড়ুন: ওমর (রা.) যেসব কারণে ইতিহাসে অনন্য

মিরকাত প্রণেতা বলেন, এটি ওমর (রা.)-এর একটি মহান কারামত ও অত্যুচ্চ মর্যাদার প্রমাণ। এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় রয়েছে। যেমন— যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠা, তাঁর নির্দেশসূচক আওয়াজ সেখানে পৌঁছে যাওয়া, প্রত্যেকে সে আওয়াজ শোনা, সেনাদলের বিজয় লাভ করা এবং তাঁর দোয়ার বরকতে তাদের সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়া। (মিরকাত)

এটি ছিল আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইলহাম। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি কখনো কখনো ইলহাম করে থাকেন। যেমন তিনি মুসা (আ.)-এর মায়ের প্রতি এবং আরও অনেকের প্রতি করেছেন। এভাবে তিনি তাঁর নেক বান্দাদের সম্মানিত করেন। যাকে ‘কারামত’ বা ‘সম্মান’ বলা হয়। অতএব এটি ছিল ওমর (রা.)-এর প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কারামত। যার মাধ্যমে মুসলিম বাহিনীর বিজয়লাভ হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শরিয়তসম্মত সব নিদর্শনের প্রতি বিশ্বাস রাখার এবং সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।