images

ইসলাম

টয়লেটে প্রবেশ ও বের হওয়ার দোয়া

ধর্ম ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৪৭ এএম

মানুষের জীবনে ঘুম থেকে ওঠার পর আবার ঘুমানো পর্যন্ত প্রত্যেকটি কাজে-ক্ষেত্রে সুন্নত রয়েছে। আর সুন্নত মেনে জীবন পরিচালনা করলে সবকিছু ইবাদতে পরিণত হয়। পার্থিব কল্যাণের জন্যও সুন্নতের অনুসরণ সবচেয়ে উপযোগী।

প্রাকৃতিক কাজকর্মের জন্য বাথরুমে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে দোয়া পাঠ করার শিক্ষা দিয়েছেন প্রিয়নবী (স.)। আলেমগণ বলেছেন, এর মাধ্যমে একইসঙ্গে সুন্নত পালন করা হয়, আবার শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও বিভিন্ন প্রকার অনিষ্ট থেকেও হেফাজত থাকা যায়। নবীজির শেখানো এ সংক্রান্ত দোয়া দুটি নিচে উল্লেখ করা হলো।

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া আরবি: اللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ

বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া বাংলা: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবছি ওয়াল খাবায়িছ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও নারী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি: ৬৩২২)

আরও পড়ুন: সুন্নতের অনুসরণেই মুক্তি

বাথরুম থেকে বের হওয়ার দোয়া
বাথরুম থেকে বের হয়ে দোয়া আরবি: الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ

বাথরুম থেকে বের হয়ে দোয়া বাংলা: ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া আফানি।’ অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমার কাছ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু বের করে দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপদ করেছেন। (ইবনে মাজাহ: ২৯৭)

আরও পড়ুন: ফরজ বাধ্যতামূলক, নফলে আল্লাহর নৈকট্য 

উল্লেখ্য, বাথরুমের ভেতরে থাকাবস্থায় কোনো দোয়া, তাসবিহ, জিকির পাঠ ইত্যাদি সমীচীন নয়, কারণ টয়লেট নাপাক স্থান। এমনকি খোলা স্থানে পেশাব-পায়খানারত অবস্থায়ও তা মহান আল্লাহর শান ও মর্যাদার পরিপন্থী। সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির করণীয় হলো- টয়লেটে প্রবেশের আগে দোয়া পাঠ করা, প্রবেশের পর চুপ থাকা এবং বের হওয়ার পরে দোয়া পাঠ করা। তবে ভেতরে থাকা অবস্থায় মনে আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত হলে সমস্যা নেই। (আল আওসাত: ১/৩৪১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে টয়লেটে প্রবেশের আগে এবং টয়লেট থেকে বের হয়ে হাদিসের দিকনির্দেশনা মেনে দোয়া পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল কারার তাওফিক দান করুন। আমিন।