ধর্ম ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০২২, ১২:২০ পিএম
সুন্দর জীবন এবং পরকালীন সফলতার জন্য যা যা জরুরি সবকিছু মহান রবের কাছেই চাইতে হবে। কেননা তিনি ছাড়া দেওয়ার কেউ নেই। দয়াময় আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব’ (সুরা গাফির: ৬০)। তাই মুমিনের দায়িত্ব হলো—আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। ছোট-বড় সবকিছু তাঁর কাছে চাওয়া।
মহানবী (স.) আল্লাহ তাআলার কাছে এমন একটি দোয়া করতেন- যে দোয়ার মাধ্যমে তাকওয়া, হেদায়াত, চারিত্রিক পবিত্রতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের জীবনের সকল চাওয়া নিহিত ওই দোয়ায়। দোয়াটি হলো—
اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আফাফা; ওয়াল গেনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হেদায়াত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা তাকওয়া কামনা করি এবং আপনার কাছে সতীত্ব তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য বা সচ্ছলতা কামনা করি।’ (মুসলিম: ২৭২১; তিরমিজি: ৩৪৮৯; ইবনে মাজাহ: ৩৮৩২; মুসনাদে আহমদ: ৩৬৮৪, ৩৮৯৪)
আরও পড়ুন: যে দোয়া পড়লে দুনিয়া-আখেরাতে আল্লাহই যথেষ্ট
কতইনা উত্তম দোয়া ছিল এটি! যার মধ্যে রয়েছে ইহকাল ও পরকালের সকল আবেদন। নবীজি (স.)-এর এই দোয়া উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য একটি সুন্দর শিক্ষা। মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় নবীজি (স.)-এর শেখানো এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নবীজি (স.)-এর বিশেষ এ দোয়ার ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।