ধর্ম ডেস্ক
১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
উসমান বিন আফফান (রা.)-এর খেলাফতের সময় ইসলামি সাম্রাজ্যের সীমানা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়। এই সময়কালে চারজন সাহাবির নাম পাওয়া যায়, যারা ভারতবর্ষের সীমান্ত অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
উবাইদুল্লাহ (রা.) কুরাইশের বিখ্যাত শাখা বনু তাইমের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। উসমান (রা.) তাঁকে মাকরান অভিযানের সেনাপতি হিসেবে পাঠান। তিনি ‘নাহার’ ও পরে পারস্যের বিভিন্ন অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন এবং ২৯ হিজরিতে ইস্তাখরে শাহাদাত বরণ করেন। (সূত্র: আল ইসতিয়াব ফি আসমাইল আসহাব, উসদুল গাবাহ, খেলাফতে রাশেদাহ আওর হিন্দুস্তান, পৃষ্ঠা-২৫৩-২৫৫)
উমাইর (রা.) খোরাসান ও মাকরান অঞ্চলের গভর্নর নিযুক্ত ছিলেন। তিনি খোরাসান থেকে ফারগানা পর্যন্ত সমগ্র অঞ্চল জয় করেন। তবে, কাজী আতহার মোবারকপুরীর রেওয়ায়েত অনুযায়ী তাঁর পরিচয় নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। (সূত্র: তারিখে তাবারি, আল কামিল) কাজী আতহার মোবারকপুরী (রহ.) এর মতে, সম্ভবত এই সাহাবির প্রকৃত নাম উমাইর বিন সাদ বিন উবাইদ বিন নুমান (রা.)। (খিলাফতে রাশেদাহ আওর হিন্দুস্তান, পৃষ্ঠা-২৫৯)
আরও পড়ুন: ইসলামে ভারতবর্ষের গুরুত্ব ও মর্যাদা
মুজাশি (রা.) ইসলাম গ্রহণের পর বিভিন্ন জিহাদে অংশ নেন। সহিহ বুখারি ও মুসলিমসহ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে তাঁর নাম পাওয়া যায়। তিনি ফারুকি ও উসমানীয় যুগের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়েছে জিহাদে। (সূত্র: সহিহ বুখারি: ২৯৬২, তাহজিবুল কামাল) ধারণা করা হয়, তিনি ভারতবর্ষের কিছু অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
আবদুর রহমান (রা.) মুতা ও তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উসমান (রা.) খলিফাতের সময় খোরাসান ও সাজিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন। ফুতুহুল বুলদানের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ভারতের কিছু সীমান্ত অঞ্চলও জয় করেন। পরবর্তী জীবনে বসরায় অবস্থান এবং ৫০–৫১ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। (সূত্র: ফুতুহুল বুলদান, তাহজিবুল কামাল)
উমাইর বিন উসমান বিন সাদ (রা.)–এর পরিচয় নিয়ে কিছু অমিশ্রতা আছে। বাকি তিন সাহাবির ভারতবর্ষ কিংবা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অভিযান বা গভর্নরশিপের তথ্য যৌক্তিক।