ধর্ম ডেস্ক
১৮ মে ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আরাফাতের ময়দানে ৯ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা। এ সময় হাজিরা জাবালে রহমত থেকে শুরু করে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের নির্ধারিত সীমানার মধ্যে অবস্থান নেন। সেখানে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন থাকেন।
সাধারণত আরাফাতের ময়দানে হাজিদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুর ব্যবস্থা থাকে। তবে অনেক হাজি গাছের ছায়ায় বা পাহাড়ের উপর নির্জনে ইবাদত করতে পছন্দ করেন। কারণ, ইসলামি বিশ্বাসমতে, আরাফাতের ময়দানের দোয়া আল্লাহ তাআলা বেশি কবুল করেন।
চলতি বছর গ্রীষ্মকালে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ায় আরাফাতের ময়দানে প্রচণ্ড গরমের আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হাজিদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘কাদানা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি’। প্রতিষ্ঠানটি মক্কার মাশায়েরে মুকাদ্দাসা অর্থাৎ মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দান এলাকার উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে।
এই প্রকল্পের অধীনে মসজিদে নামিরার আশপাশের আঙ্গিনায় ছায়া ও শীতলীকরণের জন্য বিশেষ ধরনের তাঁবু স্থাপন, বৃক্ষরোপণ এবং কুলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে। এর ফলে তীব্র গরম থেকে হাজিরা রক্ষা পাবেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হজ ২০২৫: হাজিদের সমস্যা ও সমাধান
৮৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ২,০০০ এর বেশি গাছ রোপণ করা হবে।
৩২০টি বিশেষ তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে, যা হাজিদের ছায়া প্রদান করবে।
৩৫০টি কুলিং ফ্যান স্থাপন করা হয়েছে, যা পরিবেশকে শীতল রাখবে।
পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আলাদা ইউনিট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: হজপালনে ধাপে ধাপে যেসব কাজ করতে হয়
মাশায়েরে মুকাদ্দাসা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এসব এলাকায় স্থায়ীভাবে অজুর সুবিধাসহ প্রচুর ওয়াশরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। এবার অস্থায়ীভাবে অনেকগুলো দ্বিতল ওয়াশরুম কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে ৫,৬০০টি ওয়াশরুম রয়েছে।
সৌদি গ্যাজেট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় ইতোমধ্যে ২০,০০০ এর বেশি নিম গাছ লাগানো হয়েছে, যা ২,৯০,০০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই সবুজায়ন উদ্যোগ আরাফাতের ময়দানে তাপমাত্রা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: সৌদি গ্যাজেট, দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন