images

ইসলাম

হাই এলে মুখে হাত দিতে হয় কেন

ধর্ম ডেস্ক

১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

হাই আসা মানব শরীরের স্বাভাবিক আচরণ। অনেক প্রাণীর মধ্যেও এটি লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে অলসতা ও জড়তার সময় হাই আসে। হাইকে যথা সম্ভব রুখে দিতে বলা হয়েছে হাদিস শরিফে। এক্ষেত্রে মুখে হাত দিয়ে রাখবে, যাতে মুখ খোলা না থাকে। 

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো হাই এলে সে যেন মুখে হাত রাখে। কেননা, (এ সময়) শয়তান মুখে প্রবেশ করে। (আদাবুল মুফরাদ: ৯৫৯)

সহিহ বুখারিতে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি পছন্দ করেন, হাই তোলা অপছন্দ করেন। কেননা হাই শয়তান থেকে আসে। সুতরাং তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য তা দমন করার চেষ্টা করে। কেননা হাই তোলার কারণে শয়তান হাসতে থাকে। (সহিহ বুখারি: ২/৯১৯)

আরও পড়ুন: নামাজে হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে সমস্যা আছে?

রাসুলুল্লাহ (স.) এ সম্পর্কে আরও বলেছেন, তোমাদের কারো যদি হাই আসে সে যেন যথাসাধ্য মুখ বন্ধ রাখে অথবা মুখের উপর হাত রাখে। কেননা কোনো ব্যক্তি যখন হাই তোলে এবং আহ বলে তখন শয়তান তার মুখের ভেতর হাসতে থাকে। (সহিহ ইবনে হিববান: ২৩৫৬; জামে তিরমিজি: ২৭৪৬)

নামাজে হাই এলে যথাসম্ভব তা ফেরানোর চেষ্টা করা উচিত। কারণ এটি নামাজে অলসতা ও মনোযোগ না থাকার আলামত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘নামাজের মধ্যে হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তোমাদের কারো হাই এলে সে যেন তা ফেরানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করে।’ (তিরমিজি: ৩৭০)

আরও পড়ুন: নামাজে প্রায় সময় হাই আসে, করণীয় কী

উপরের হাদিসগুলো থেকে জানা গেলো- হাই তোলা ইসলামে অপছন্দনীয় বিষয়। কারণ হাইয়ের সঙ্গে শয়তানের হাসাহাসির ব্যাপার রয়েছে। আর নামাজে হাই আসা মানে অমনোযোগ ও অলসতার আলামত। তাই একে যথাসম্ভব মুখ বন্ধ রেখে বা মুখে হাত দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হাদিসের নির্দেশনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লান্তি-অবসাদ ছাড়া অতিরিক্ত হাই তোলা নানারকম অসুস্থতার আলামত। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।