নামাজের ভেতরে হাই আসুক বা নামাজের বাইরে, সর্বাবস্থায় প্রথমেই তা রোধ করার চেষ্টা করবে। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ: فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ ‘হাই শয়তানের তরফ থেকে হয়। সুতরাং তোমাদের কারো হাই এলে সে যেন যথাসাধ্য তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তাকে নিয়ে হাসে। (সহিহ বুখারি: ৬২২৬)
বিশেষভাবে নামাজের ক্ষেত্রেও এ হুকুম এসেছে অন্য হাদিসে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন- إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ، فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ ‘নামাজের মধ্যে তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা, শয়তান এ সময় (মুখ দিয়ে) প্রবেশ করে।’ (সহিহ মুসলিম: ২৯৯৫; মুসনাদে আহমদ: ১১২৬২)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নামাজে হাঁচি এলে আলহামদুলিল্লাহ বলা যাবে?
অতএব নামাজে হাই এলে তা রোধ করার চেষ্টা করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হাই রোধ করার নিয়ম হলো- যদি ঠোঁট চেপে তা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়, তবে সেটিই করবে। আর এভাবে (নামাজের ভেতর বা এর বাইরে) হাই রোধ করা সম্ভব হোক বা না হোক, সর্বাবস্থায় হাই যদি এসেই যায়, তাহলে তখন এক হাত দ্বারা মুখ ঢেকে নেবে।
(বাদায়েউস সানায়ে: ১/৫০৬; তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/৪১১; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/২৩১; মারাকিল ফালাহ, পৃ-১৯৪; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৬৪৫; ফাতহুল বারি: ১০/৬৭২)

