ঢাকা মেইল ডেস্ক
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আবারও ঘনিয়ে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। হিজরি সনের নবম মাসকে রমজান বলা হয়। এই মাসে মুসলমানরা ফরজ রোজা পালন করে। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) রমজান শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির গবেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ৩১ জানুয়ারি শাবান মাস শুরু হতে পারে। এছাড়া আগামী ১ মার্চ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রমজান মাস শুরু হতে পারে বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে খালিজ টাইমস।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র মঙ্গলবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এ তথ্য জানায়। জ্যোতির্বিদ্যা হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন হবে।
আরও পড়ুন
আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র শাবান মাস শুরু হওয়ার ব্যাপারে বলেছে, ২৯ জানুয়ারি হিজরি সনের রজব মাসের ২৯তম দিন হবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের সময় বা আগে চাঁদ অস্ত যাবে। ফলে ওইদিন ইসলামিক বিশ্বে শাবানের চাঁদ দেখা অসম্ভব হবে। এতে এসব দেশে রজব মাসটি ৩০ দিন পূর্ণ করবে এবং ৩১ জানুয়ারি হবে শাবানের প্রথম দিন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাঁদ দেখা ও রমজানের সূচনার ক্ষেত্রে অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হয়। তবে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে এখনো স্থানীয় পর্যায়ে খালি চোখে চাঁদ দেখার ঐতিহ্য বজায় রাখা হয়। কারণ চাঁদ দেখার এই ঐতিহ্য একদিকে যেমন ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত, অন্যদিকে এটি সামাজিক ঐক্যের একটি প্রতীক।
রমজান আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস। এই মাস মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করা হয়। এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। রমজানের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এই মাসে কোরআন নাজিল হয়েছিল। ফলে মাসটি শুধু সিয়াম সাধনার জন্য নয়, বরং কোরআন অধ্যয়ন ও দান-সদকার জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত।
মুসলিমরা রমজান মাসে নামাজ, তারাবিহ, ইফতার ও সাহরির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। এছাড়া গরিব-দুঃখীদের সাহায্যের মাধ্যমে সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চর্চা হয় এই মাসে।
এমআর