ধর্ম ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
ইসলামে জুমাবার বড় মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনে কিছু আমলের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ একটি আমল হলো নবীজির প্রতি দরুদ পাঠ। জুমার দিন দরুদ পড়লে দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতারা নবীজির কাছে তা পৌঁছিয়ে দেন। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব: ১৫৭)
এছাড়াও জুমার দিনে দরুদ পাঠকারীর জন্য রয়েছে আল্লাহ তাআলার খাস রহমত। হজরত আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা জুমার দিন ও জুমার রাতে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ যে আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন। (সহিহুল জামে: ১২০৯)
আরও পড়ুন: জুমাবারের যে আমলে সপ্তাহের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
যেকোনো দিন দরুদ পাঠ করা যায়। যত বেশি দরুদ পড়া হয়, ততই আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়; গুনাহ ক্ষমা হয়। হাদিসে কুদসিতে প্রিয়নবীজির উদ্দেশে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’’ (তারগিব: ৩/২৯৯)
জুমার দিনে দরুদ পাঠকারীরা বিশেষ মর্যাদা লাভ করবেন। হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে কেউ ১০০ বার দরুদ পড়লে কেয়ামতের দিন সে এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল! (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)
আরও পড়ুন: জুমাবারে মসজিদে গিয়ে যেসব আমলের কথা ভুলবেন না
আরেক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আছর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নলিখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। দরুদটি হলো— اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’। (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)
আল্লাহ তাআলা মুসললিম উম্মাহকে জুমাবারসহ প্রতিদিন বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন।