images

ইসলাম

আগের সুরা পরে পড়লে নামাজ হবে?

ধর্ম ডেস্ক

২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম

নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হওয়ায় তা মনোযোগের সঙ্গে যথাযথভাবে আদায় করা চাই। এরপরও মানুষ হিসেবে ভুল হতে পারে। বড় ভুলগুলোর ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাহু সেজদা দিলেই নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। ছোটখাটো ত্রুটির জন্য সাহু সেজদা দিতে হয় না। যেমন সুরার ধারাবাহিকতা নষ্ট হলে সাহু সেজদার দরকার নেই। এমনিতেই নামাজ হয়ে যাবে।

ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নামাজে সুরার তারতিব বা ধারাবাহিকতা রক্ষা করা মোস্তাহাব। ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত তারতিব ভঙ্গ করা অনুত্তম। তবে কেউ করলে নামাজ হয়ে যাবে। আর ভুলবশত হলে কোনো সমস্যা নেই; মাকরুহও হবে না, সাহু সেজদাও ওয়াজিব হবে না। 

আরও পড়ুন: জীবনে অনেক নামাজ কাজা হয়েছে, করণীয় কী

নামাজে সুরা মেলানোর ক্ষেত্রে মৌলিক কয়েকটি কথা স্মরণ রাখলে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। 
১. যেন কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তেলাওয়াত করা হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো- কমপক্ষে ৩০ হরফ।
২. এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পড়লে কোনো সমস্যা নেই।
৩. প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বে, পরের রাকাতে পরের কোনো সুরা পড়বে, আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ। এতে কোরআনের তারতিব পাল্টে যায়। তবে ভুলে এমনটি করলে সমস্যা নেই।
৪. বড় সুরা মাঝখান থেকে কিছু অংশ পড়া, আর পরের রাকাতে আরেক সুরার মাঝখান থেকে পড়াও অনুত্তম।
৫. প্রথম রাকাআতে বড় সুরা পড়লে তার পরের রাকাআতে তুলনামূলক ছোট সুরা পড়া উত্তম। 

এগুলোই মূলত নিয়ম। তবে এসবের ব্যত্যয় ঘটলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। কেননা, কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ ‘তোমার কোরআনের যেখান থেকে সুবিধা হয় পড়ো।’ (সুরা মুজাম্মিল: ২০)

মূলকথা হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ভুলগুলো করা মাকরুহ। অনিচ্ছাকৃতভাবে হলে সমস্যা নেই। আর এমন ভুলের কারণে সাহু সেজদাও ওয়াজিব হবে না। (খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/৯৭; আল মুহিতুল বুরহানি: ২/৩১০; আলবাহরুর রায়েক: ২/৯৪; ইলাউস সুনান: ৪/১৪৫; ফাতহুল কাদির: ১/২৯৯; শরহুল মুনইয়া: ৪৯৪; আদ্দুররুল মুখতার: ১/৫৪৬)