ধর্ম ডেস্ক
১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পবিত্র কোরআনে কারিমে এমন কিছু আয়াত রয়েছে, যেগুলোর তেলাওয়াত করলে বা শুনলে মুমিন পাঠক ও শ্রোতাকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সেজদা করতে হয়। এই সেজদাকে সেজদায়ে তেলাওয়াত বলা হয়। এই সেজদা তেলাওয়াতকারী এবং শ্রবণকারী উভয়ের উপর ওয়াজিব।
তেলাওয়াতে সেজদার পদ্ধতি হলো- হাত না উঠিয়ে দাঁড়ানো থেকে আল্লাহু আকবর বলে সোজা সেজদায় চলে যাওয়া এবং ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ তিনবার পড়ে আল্লাহু আকবর বলে দাঁড়ানো। দাঁড়ানো থেকে সেজদায় যাওয়া এবং সেজদা থেকে উঠে পুনরায় দাঁড়ানো মোস্তাহাব; জরুরি নয়।
আরও পড়ুন: ফজরের সুন্নত ও ফরজ নামাজে যেসব সুরা পড়তেন নবীজি
অতএব একসঙ্গে একাধিক সেজদায়ে তেলাওয়াত আদায় করলে মুস্তাহাব হলো- প্রতিবার উঠে দাঁড়িয়ে আরেক সেজদা করা। তবে প্রতিবারের জন্য না দাঁড়িয়ে বসা থেকে সেজদা করলেও সেজদায়ে তেলাওয়াতগুলো আদায় হয়ে যাবে।
সেজদা হবে মাত্র একটি। এতে তাশাহ্হুদ নেই, সালামও নেই। এই সেজদার জন্য হাত উঠাতে বা বাঁধতে হবে না এবং দুইটি সেজদাও করতে হবে না। পুরুষদের জন্য আল্লাহু আকবর জোরে বলা উত্তম।
আরও পড়ুন: আজান শুনলে কোরআন তেলাওয়াত বন্ধ করতে হবে কি?
কেউ পুরো কোরআন মাজিদ খতম করলে সে ১৪টি সেজদা করে নিলে এক খতমের সকল সেজদা আদায় হয়ে যাবে। তবে একাধিক খতম করে কিংবা সারাজীবন যত তেলাওয়াতে সেজদা ওয়াজিব হবে— সবগুলোর জন্য ১৪টি সেজদা আদায় করে নিলেই যথেষ্ট হবে; তবে এ ধারণা ঠিক নয়। বরং যতগুলো সেজদার আয়াত যতবার তেলাওয়াত করা হয়েছে, সবগুলোর জন্য পৃথক পৃথক সেজদা দিতে হবে। শুধু এক বৈঠকে একটি সেজদার আয়াত একাধিকবার পড়লে সেক্ষেত্রে একটি সেজদা ওয়াজিব হবে।
উল্লেখ্য, সেজদায়ে তেলাওয়াত বিলম্ব না করে সেজদার আয়াতের পরেই আদায় করা উচিত। (বাদায়েউস সানায়ে: ১/৪৪৯; তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/৫০৫; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/৫৯১; জামেউল মুজমারাত ২/৭৬; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ২/৪৬৪; আদ্দুররুল মুখতার: ২/১০৭; শরহুল মুনইয়া: ৫০১; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/১৩৪; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/১৫৮)