images

ইসলাম

মহানবী (স.)-এর পরে যেসব নবীর মর্যাদা বেশি

ধর্ম ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম

মানবজাতিকে দ্বীনের পথে অটল রাখতে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাঁদের সবাই সম্মানিত; তাঁরা সবাই উঁচু মর্যাদার অধিকারী। তবে তাঁদের মধ্যে পাঁচজন নবী এমন, যাঁদের আল্লাহ পৃথিবীর সব নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। কালামশাস্ত্রে যাঁদের ‘উলুল আজম’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন আমি নবীদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমার কাছ থেকেও; নুহ, ইবরাহিম, মুসা ও মারিয়মপুত্র ঈসার কাছ থেকেও। তাদের থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার।’ (সুরা আহজাব: ৭)

উল্লিখিত আয়াত পাঁচজন নবীর বিশেষ মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। আয়াতে বর্ণিত পাঁচজন নবীর মধ্যে মুহাম্মদ (স.)-এর মর্যাদা সবার চেয়ে বেশি। আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় লেখেন, ‘এ বিষয়ে কোনো মতভিন্নতা নেই যে পাঁচজন উলুল আজম নবীর মধ্যে মুহাম্মদ (স.)-ই শ্রেষ্ঠতর। তাঁর পর ইবরাহিম (আ.), তাঁর পর মুসা (আ.), তাঁর পর ঈসা (আ.) ও নুহ (আ.)।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৫/৮৮)

আরও পড়ুন: মানবজাতি থেকেই কেন নবী-রাসুল?

ইমাম কুরতুবি (রহ.) আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, আল্লাহ এই নবীদের বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো- নবীদের মধ্যে তাঁদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। কেননা তাঁরা শরিয়ত ও কিতাবের অধিকারী। তাঁরা রাসুলদের মধ্যে উলুল আজম এবং জাতিগুলোর ইমাম বা নেতা।

তবে এই সম্ভাবনাও রয়েছে যে, আল্লাহ তাঁদের পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন যেন মুসলমানরা অমুসলিমদের সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক না রাখলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখে। বিখ্যাত মুফাসসিররা বলেন, পাঁচজন নবীর বিশেষ মর্যাদার কারণ হলো- আল্লাহর দ্বীন প্রচারে তাঁদের আত্মত্যাগ, স্বতন্ত্র আসমানি কিতাব ও শরিয়ত লাভ এবং মানবসভ্যতায় তাঁদের চিরন্তন অবদান ও প্রভাব।

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে নবী-রাসুলদের আগমনের ধারা

এখনো পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মমতগুলোর মধ্যে উল্লিখিত পাঁচ নবীর প্রবর্তিত ধর্মই বেশি শক্তিশালী। অনুসারী ও অনুগামীর বিচারেও তাঁরা পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মগুরুর চেয়ে অগ্রগণ্য। 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আদম (আ.)-এর সন্তানদের মধ্যে সর্বোত্তম পাঁচজন : নুহ, ইবরাহিম, মুসা, ঈসা ও মুহাম্মদ। তাঁদের মধ্যে মুহাম্মদ (স.)-ই শ্রেষ্ঠতর।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৫/৮৮)