images

ইসলাম

অবাঞ্ছিত লোম ৪০ দিন না কাটলে নামাজ মাকরুহ হবে?

ধর্ম ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পিএম

ইসলাম স্বভাবজাত ধর্ম। মানুষের পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য ও সুস্থতা রক্ষার গুরুত্ব রয়েছে ইসলামে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পাঁচটি জিনিস মানুষের স্বভাবজাত বিষয়: খতনা করা, ক্ষৌরকার্য করা (নাভির নিচের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করা), বগলের চুল উপড়ানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা।’ (বুখারি, মুসলিম, মেশকাত: ৪৪২০)

নাভির নিচের পশম প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা মোস্তাহাব। আর তা জুমার দিনে করা অতি উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে প্রতি ১৫ দিনে একবার। এর চেয়েও বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিন যেন অতিক্রম না হয়। কেননা এর চেয়ে বিলম্ব করা মাকরুহ।

হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন- ‘রাসুল (স.) নখ ও গোঁফ কাটা এবং বগলের চুল উপড়ানো ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, তা যেন চল্লিশ রাতের অধিক (অপরিষ্কার অবস্থায়) না রাখা হয়।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৮)

আরও পড়ুন: স্বপ্নদোষ নিয়ে মাসয়ালা-মাসায়েল

হাদিসে দেখা যাচ্ছে, ৪০ দিনের বেশি অবহেলাবশত অবাঞ্ছিত লোম অপরিষ্কার রাখা ঠিক নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে এই মেয়াদ অতিক্রম করলে গুনাহ হবে। যেহেতু নবীজি (স.) এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন।

তাই ৪০ দিনের বেশি বিলম্ব করা ঠিক না। তবে এ কারণে নামাজ মাকরুহ হওয়ার কথা ঠিক নয়। (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৪০৭; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৫৭; হাশিয়াতুত তহতাবি আলাল মারাকি, পৃ-২৮৬)

আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির নাভির নিচের পশম কাটা কি উত্তম?

উল্লেখ্য, পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভি থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নিচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা শুরু হয়। ওই ভাঁজ থেকে দুই উরু পর্যন্ত ডান বামের লোম, গোপনাঙ্গের চার পাশের লোম, অণ্ডকোষ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত উদগত লোম এবং প্রয়োজনে মলদ্বারের আশেপাশের লোম অবাঞ্ছিত লোমের অন্তর্ভুক্ত। (আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা কুয়েতিয়্যা: ৩/২১৬-২১৭, মরদূকে লেবাস আউর বালূঁকে শরয়ি আহকাম: ৮১)